দৈনিকবার্তা-বগুড়া, ০৮ জুন: বগুড়ার ধুনটে ডাবলু মিয়া (৩৮) নামের এক আওয়ামী লীগ কর্মীকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। সোমবার দুপুর ২টায় সোনাহাটা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ডাবলু মিয়া মাজবাড়ী গ্রামের দেলবর রহমানের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার দুপুর ২টায় নিমগাছী ইউনিয়নের সোনাহাটা বাজারে অফফরের হোটেলের সামনে আ’লীগ কর্মীকে ডাবলু মিয়ার উপর প্রতিপক্ষের লোকজন হামলা করে। হামলাকারীরা রামদা দিয়ে তাকে উপর্যপুরি কুপিয়ে রেখে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়। বগুড়া শজিমেক পুলিশ ফাঁড়ির এসআই শাহ আলম জানান, চিকিৎসাধিন অবস্থায় বিকেল ৩টায় ডাবলু মিয়া মারা যায়। তার শরীরে উপর্যপুরি কোপানো হয়েছিল।
নিমগাছী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশীদ জানান, ডাবলু মিয়া আ.লীগের কর্মী। সে ২০১৪ সালে বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগদান করেছিল। নিমগাছী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুজাউদৌলা রিপন জানান, ধারালো রামদার কোপে ডাবলু মিয়া গুরুতর আহত হয়। তাকে উদ্ধার করে বগুড়ায় শজিমেক হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধিন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
জানা যায়, ২০০৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৮টায় মাজবাড়ী গ্রামে প্রতিপক্ষের লোকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আ.লীগ নেতা শাহীনুর আলম ওরফে লাল মিয়া ও কাঁলাচাদ ওরফে নয়া মিয়াকে হত্যা করে। নিহত ডাবলু মিয়া ওই মামলার এজাহার ভুক্ত আসামী। ডাবলুর স্বজনরা জানান, ডাবল মার্ডার মামলার অন্যতম আসামী নূর আলম। ডাবলু ওই মামলা আসামী হলেও সম্প্রতি নূর আলমের সাথে বিরোধ সৃষ্টি হয়। ওই বিরোধের জের ধরে নূর আলমের নেতৃত্বে ডাবলু মিয়াকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
ধুনট থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) জিয়াউর রহমান জানান, সোনাহাটা বাজারে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ডাবলু মিয়াকে আহত করা হয়। বগুড়ায় নেওয়ার পরে সে নিহত হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নিহত ডাবলু মিয়া ডাবল মার্ডার মামলা আসামী ছিলো কি না, বিষয়টি এখনই নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।