খুন

দৈনিকবার্তা-গাজীপুর, ৭ জুন: গাজীপুরের কালিয়াকৈরে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে এক রন্ধনকর্মী এক নারীকে অপর এক নারী খুন করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এলাকাবাসী ঘাতক ওই নারীকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করেছে। শনিবার দিবাগত রাতে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। নিহতের নাম নুরজাহান বেগম (৪৫)। সে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার হরিরামপুর গ্রামের ওয়াহেদ আলীর স্ত্রী।

কালিয়াকৈরের চন্দ্রা পল্লী বিদ্যুৎ এলাকার সুলতানা চৌধুরীর বাড়িতে নূরজাহান বেগম সপরিবারে ভাড়া থেকে মেসে রান্নার কাজ করতো। শনিবার বিকেলে বল খেলা নিয়ে নূরজাহান বেগমের সন্তানের সঙ্গে পাশের বাড়ির ভাড়াটিয়া আয়েশা আক্তারের সন্তানের ঝগড়া হয়। এঘটনায় নূরজাহান ক্ষিপ্ত হয়ে আয়শা আক্তারের মেয়ে কামরুন্নাহারকে মারধর করে। পরে ওই ঘটনার জেরে আয়েশা আক্তার ও নূরজাহানের মধ্যে বাকবিতন্ডা এবং হাতাহাতি হয়। এসময় নুরজাহান অচেতন হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।

প্রতিবেশিরা তাকে উদ্ধার করে পল্লীবিদ্যূৎ এলাকার একটি প্রাইভেট কিèনিকে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক নুরজাহান খাতুনকে মৃত ঘোষণা করেন। নুরজাহানের মৃত্যুর খবর পেয়ে এলাকাবাসী আয়শা আক্তারকে আটক করে। খবর পেয়ে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আয়েশা আক্তারকে (৩০) আটক করে এবং নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। আটক আয়েশা আক্তার আয়শা আক্তার গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পূর্ব আনাহাটি গ্রামের আব্দুল বারীর মেয়ে। কালিয়াকৈর থানার এসআই আতিকুর রহমান রাসেল জানান, নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে ময়না তদন্তের পর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।