unnamed29

দৈনিকবার্তা-নীলফামারী, ৫ জুন: মহান মুক্তিযুদ্ধের দীর্ঘ ৪৪ বছর পর নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলায় মুক্তিযুদ্ধ ও গণহত্যার শিকার শহীদদের স্মৃতি রক্ষার্থে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও বধ্যভুমিতে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণে সরকারী অনুদান (এমপি’র বিশেষ বরাদ্দ) মিললেও মাঝপথে থমকে আছে এসবের নির্মাণ কাজ। প্রকল্প চেয়ারম্যানদের অভিযোগ সৈয়দপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়নকারী অফিসার (পিআইও) অজ্ঞাত কারণে এসব প্রকল্পে সময়মতো বরাদ্দ ছাড় দিচ্ছেন না। ফলে উভয় প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত সময়ে সম্পন্ন না হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। জানা গেছে, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে সৈয়দপুরের অসামান্য অবদান রয়েছে। জেলার অন্যান্য উপজেলার চেয়ে সৈয়দপুরে প্রথম মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয় এবং ১৯৭১ সালের ১৩ জুন নারী শিশু ও বৃদ্ধসহ ৪৪৭জন হিন্দু-মারোয়াড়ীকে নির্মমভাবে হত্যা করে পাক বাহিনী ও স্থানীয় রাজাকাররা।

স্বাধীনতার দীর্ঘ ৪৪টি বছর পেরিয়ে গেলেও সৈয়দপুরে স্থায়ী কোন শহীদ মিনার বা বধ্যভুমিতে স্মৃতিস্তম্ভ গড়ে ওঠেনি। স্থানীয় সাংসদ ও বিরোধী দলীয় হুইপ আলহাজ্ব শওকত চৌধুরী গত বছর শহরের ডাকবাংলোর সামনে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এবং শহরের অদুরে কয়াগোলাহাট এলাকায় বধ্যভুমিতে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের পরিকল্পনায় প্রকল্প অনুমোদন করেন। অধ্যাপক সাখাওয়াত হোসেন খোকন, আকতার হোসেন খান ও জাকির হোসেন দায়িত্ব নেন শহীদ মিনার নির্মাণের আর সাংবাদিক নিজু কুমার আগারওয়ালাকে দায়িত্ব দেয়া হয় গোলাহাট বধ্যভুমিতে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ কাজের। আগামী ১৩ জুন বধ্যভুমির স্মৃতিসৌধ উদ্বোধনের কথা থাকলেও প্রশাসনিক অসহযোগিতার কারণে থমকে আছে এ প্রকল্পের কাজ।

প্রকল্প চেয়ারম্যানগণ অভিযোগ করেন, সৈয়দপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়নকারী অফিসার (পিআইও) সময়মতো কাজ পরিদর্শন না করা এবং বরাদ্দ ছাড় না দেয়ায় শহীদ মিনার ও স্মৃতিসৌধ নির্মাণ কাজ থেমে আছে। এ ব্যাপারে পিআইও শফিকুর রহমানের সাথে তার অফিসে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, প্রচলিত নিয়মনীতি মেনেই কাজ করছি। এতে কারো কিছু হলে আমার যায়-আসে না।অন্যদিকে, প্রকল্প চেয়ারম্যানরা আক্ষেপ করে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও সরকারের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য এই পিআইও এসব কাজে অসহযোগিতা করছেন। নির্ধারিত সময়ে এসব প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করতে তারা যথাযথ কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।