দৈনিকবার্তা-বরগুনা, ৫ জুন: বরগুনা জেলা শহরের ফার্মেসী পট্টির পল্লী চিকিৎসক জহিরুল ইসলাম সৌরভ এক রোগীকে মারপিট করে পালিয়েছে। ভুল চিকিৎসার এক মাস পরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভাঙ্গা হাত পুনরায় জোড়া লাগাতে গিয়ে ১০ বছরের শিশু রোগী রিপনকে মারধোর করে জনরোষে পড়ার ভয়ে পালিয়ে যান তিনি।রোগীর পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বরগুনা সদর উপজেলার আমতলী-নিমতলী গ্রামের সুমন মিয়া ও বিউটি আক্তারের ছেলে রিপনের (১০) হাত ভেঙ্গে যায় এক মাস আগে। তখন দালালের খপ্পড়ে পড়ে হাতুড়ে ডাক্তার সৌরভের কাছে শিশু রিপনকে নিয়ে আসে তার মা ও মামা। এসময় সৌরভ শিশুটির ভাঙ্গা হাতে ব্যান্ডেজ করে দেন।
একমাস পর অবস্থার আরও অবনতি হলে বৃহস্পতিবার পুনরায় শিশুটিকে সৌরভ ডাক্তারের কাছে নিয়ে আসেন তার মামা ও মা। এ সময় এক মাস আগের ভাঙ্গা হাত পুনরায় জোড়া লাগাতে টানাটানি শুরু করলে ব্যথায় আর্তনাদ করতে থাকে শিশুটি। ক্ষিপ্ত হয়ে ডাক্তার সৌরভ শিশুটিকে তার মামা ও মায়ের সামনেই বেদম প্রহার করেন। শিশুটির চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এলে সৌরভ ডাক্তার দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা জানান, ২০১৪ সালের ২৬ অক্টোবর ওই চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় ৭দিন বয়সের এক শিশুর মৃত্যু হলে এক লাখ টাকায় বিষয়টি রফাদফা করা হয়। বরগুনার বাঁশবুনিয়া গ্রামের দিনমজুর আ. মজিদের হাত ভেঙ্গে গেলে তার ভুল চিকিৎসায় মজিদ পঙ্গু হয়ে যান।