দৈনিকবার্তা-ঘানা, ০৫ জুনঃ ঘানার রাজধানীতে একটি পেট্রোল স্টেশনে এক অগ্নিকান্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭৫।বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, আক্রার বাসিন্দারা যখন দুই দিনের ভারী বর্ষণ মোকাবেলা করছে ঠিক তখনই পেট্রোল স্টেশনে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। ভারী বৃষ্টিপাতে অনেকে গৃহহীন হয়ে পড়েছে এবং অসংখ্য লোক বিদ্যুবিহীন অবস্থায় রয়েছে।ধারণা করা হচ্ছে, বৃষ্টির ফলে সৃষ্ট বন্যার হাত থেকে বাঁচতে লোকজন ওই পেট্রোল স্টেশনে আশ্রয় নিয়েছিলেন। এক পর্যায়ে সেখানে আগুন ধরে যায়। প্রেসিডেন্ট জন দ্রামানি মাহামা আগামী সোমবার থেকে তিন দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছেন। তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং এ ঘটনাকে বিপর্যয়কর ও অপ্রতাশিত বলে উল্লেখ করেন।তিনি পানি প্রবাহের পথে ঘরবাড়ি নির্মাণ বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার অঙ্গীকার করেছেন। দুর্যোগের জন্য এটা অন্যতম কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।প্রেসিডেন্ট বলেন, আমি মনে করি, পানির ওপর থেকে ঘরবাড়ি সরিয়ে ফেলার এখন সময় এসেছে। জনগণেরও বোঝা উচিত, সবার সুরক্ষার জন্য এটা প্রয়োজনীয়।
বন্যা মোকাবেলার উপায় খুঁজতে মন্ত্রিপরিষদ ও নিরাপত্তা প্রধানগণের সঙ্গে এক জরুরী বৈঠকের পর সরকার বলেছে, বন্যার্তদের সহায়তার জন্য ১ কোটি ৪০ লাখ ডলার ছাড় করা হবে।রাজধানীতে স্কুল বন্ধ রয়েছে এবং ছেলেমেয়েদের বাড়িতে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আবহাওয়াবিদরা আরো বৃষ্টিপাতের আশংকা করছেন। পেট্রোল স্টেশনে আগুন ধরে যাওয়ার সময় সেখানে পার্ক করা একটি বাসের মধ্যে ঘুমা”িছলেন এর কন্ডাক্টর ইয়া আফোরভে। তিনি বলেন, আগুন ধরে যাওয়ার পর তিনি বন্যার পানির মধ্যে লাফ দেন। আগুনে তার মুখের কিছু অংশ পুড়ে গেছে।তিনি বলেন, ‘আমি বন্যার পানির তোড়ে রাস্তার অন্য পাশে ভেসে আসি। আমি দেখলাম অনেক লোক শোরগোল ও চিৎকার করছেন।ঘানার অগ্নিনির্বাপক সংস্থার মুখপাত্র বিলি আনাগলেতে বলেন, বন্যার পানির চাপে গ্যাস স্টেশন থেকে ডিজেল ও পেট্রোল বের হয়ে এসে ভাসতে থাকে। এক পর্যায়ে পার্শ্ববর্তী একটি বাড়ি থেকে ওই আগুনের সূত্রপাত হয় এবং এতে পেট্রোল স্টেশনে বিস্ফোরণ ঘটে।