দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০৪ জুনঃ দক্ষিণ কোরিয়ায় মিডলইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রম (মার্স) ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া নিয়ে জনমনে ব্যাপক আতঙ্ক বিরাজ করছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জনমনের আতঙ্ক প্রশমনের চেষ্টা করছেন। নতুন করে আরও পাঁচজন আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়াল ৩৫। এতে এখন পর্যন্ত দুই জনের প্রাণহানি হয়েছে। উদ্ভূত পরি¯ি’তিতে বৃহস্পতিবার সাত শতাধিক স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং হাজার হাজার পর্যটক দেশটিতে তাদের ভ্রমণ বাতিল করেছেন।সৌদি আরবের পর দ. কোরিয়ায় মার্স ভাইরাস সবচেয়ে ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়ছে। এ প্রেক্ষাপটে কিন্ডারগার্টেন থেকে কলেজ লেভেল পর্যন্ত ৭ শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, নতুন পাঁচজন নিয়ে এই ভাইরাসে এখন পর্যন্ত ৩৫ জন আক্রান্ত হয়েছে।দক্ষিণ কোরিয়ায় ২০ মে প্রথম মার্স ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া যায়। ৬৮ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি সৌদি আরব সফর করেছিলেন। এরপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এই ভাইরাসের সংস্পর্শে আসা এক হাজার ৩শ’র বেশি লোককে আলাদা করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
মার্স ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া নিয়ে দেশটির মানুষের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেক মানুষ মুখোশ বা মুখবন্ধনী পরে গণপরিবহনে চলাফেরা করছেন।মার্স ভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক দেশের বাইরেও ছড়িয়েছে। কোরিয়ার পর্যটন সংস্থা (কেটিও) বলেছে, আতঙ্কে প্রায় ৭ হাজার পর্যটক দ. কোরিয়ায় তাদের সফর বাতিল করেছে। পর্যটকদের বেশিরভাগই চীন ও তাইওয়ানের।মার্স ভাইরাস বিস্তার রোধে ধীর পদক্ষেপের অভিযোগ এনে প্রেসিডেন্ট পার্ক গিউন হাইয়ের প্রশাসন ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের ব্যাপক সমালোচনা করা হচ্ছে।বুধবার স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক জরুরী বৈঠকে পার্ক মার্স ভাইরাসের বিস্তার রোধ ও গণাতঙ্ক হ্রাসে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহণের আহবান জানিয়েছেন।সারা বিশ্বে এক হাজার ১৬১ জন মার্স ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছে ৪৩৬ জন। ২০ টির বেশি দেশে মার্স ভাইরাস ছড়িয়েছে। সবচেয়ে বেশি প্রাদুর্ভাব ঘটেছে সৌদি আরবে। এই ভাইরাসের কোনো চিকিৎসা বা টিকা নেই। ভাইরাসটি প্রাণঘাতী বলে বিবেচিত।