দৈনিকবার্তা-লক্ষ্মীপুর, ০৩ জুন: লক্ষ্মীপুরে সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে পৃথক ঘটনায় মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল ১১টা পর্যন্ত অন্তত ৪২জন আহত হয়েছে। আহত ব্যক্তিদের লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। জানা যায়, সদর উপজেলার কুশাখালী, চররুহিতা, চন্দ্রগঞ্জ, পার্বতীনগর ইউনিয়নসহ অন্য অন্য ইউনিয়ন থেকে আহত রোগীরা পবিত্র শবেবরাত থেকে দিনের ১১টা পর্যন্ত ৪২ জন রোগী চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।সদর উপজেলার কুশাখালী ইউনিয়নের চর মটুয়া এলাকায় ছেরাজল হক হাজী বাড়ীর নুর হোসেন গংদের সাথে বেলাল হোসেন গংদের জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে বিরোধীয় ভূমির একটি করইগাছ কাটাকে কেন্দ্র করে নুর হোসেনের সাথে বেলাল হোসেন গংদের কথা কাটাকাটি হয়। পরে রাত ৮টার দিকে নুর হোসেনের নেতৃত্ব ১৫/২০ জনের বহিরাগত একদল সন্ত্রাসী লাঠি সোটা ও দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে বেলাল হোসেনের পরিবারের উপর হামলা চালায়। এতে বেলাল হোসেন, তার মা আলেয়া বেগম, স্ত্রী কুলসুমা বেগম, রিনা বেগম, মনির হোসেন, সামছু, সোহেল, সেলিমসহ ওই পরিবারের ১২ জন কুপিয়ে আহত হয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয়রা আহতদেরকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
অন্যদিকে চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের বসুদুহিতা গ্রামের মোল্লা বাড়ির আবুল কালামের বড় মেয়ে স্কুল পড়–য়া ছাত্রী রুপালী আক্তারকে ওই রাত সাড়ে ৮টার দিকে একই এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে রাশেদ ও তার সহযোগীদের নিয়ে রুপালীকে উঠে নেয়ার জন্য আসলে রুপালীকে না পেয়ে তার মা স্বার্প্না বেগম, তার দু’ছোট বোন রুবিনা আক্তার ও রাসরিন আক্তাররের উপর হামলা চালিয়ে তাদের বসতঘর ভাংচুর করে। পরে তাদের স্থানীরা উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রুপালীর মা স্বর্প্না বেগম জানায়, আব্দুর রহিমের লম্পট ছেলে রাশেদ দীর্ঘদিন থেকে আমার মেয়ে রুপালীকে বিভিন্ন রকম কুপ্রস্থাব দিয়ে আসছে। গতকাল রাতে রাশেদ তার ৫/৬ জন সহযোগী নিয়ে আমার ঘরে ঢুকে আলো বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায় তারা আমার মেয়ে রুপালীকে না পেয়ে আমার এবং আমার ছোট দু’মেয়ে শ্লীলতা হানীর চেষ্ঠা করে এবং আমার ঘরের আসবাপত্র ভাংচুর করে। আমাদের চিৎকার শুনে চারদিক থেকে মানুষ আমাদের উদ্ধার করে।চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হুমায়ুন কবির জানান, এ বিষয়ে তদন্ত করে ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।অপরদিকে পার্বতীনগর ইউনিয়নের আহালাদী নগর গ্রামের আব্দুরবের ছেলে কাঠ মেস্ত্রী মোঃ ফরিদ হোসেকে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী সাদ্দাম রাত সাড়ে ১১টার দিকে স্থানীয় পার্বতীনগর জামে মসজিদ থেকে ডেকে নিয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে।সর্বশেষ জানা যায়, চররুহিতা ইউনিয়নের চররুহিতা গ্রামের ৩ সন্তানের জননী সাথী বেগম নামের এক গৃহবধুকে কুপিয়ে জখম করে তার পাষন্ড স্বামী সাহেদ মাঝি।লক্ষ্মীপুর সদর থানার ডিইটি অফিসার (এস.আই) আজিজুর রহমান জানান, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এখনও কোন আভিযোগ আসেনি। কোন অভিযোগ আসলে ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।