DoinikBarta_দৈনিকবার্তা_Sonshad-bhaban-780x450

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০৩ জুন: বৃহস্পতিবার বাজেট ঘোষণা করবেন অর্থমন্ত্রী।এটা হবে সরকারের চলতি মেয়াদের ২য় বাজেট। বাজেটের আকার ৩ লাখ কোটি টাকা হতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বিকেল ৩টা থেকে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে অর্থমন্ত্রী জাতীয় সংসদে আগামী অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করবেন।বাজেট উপস্থাপনের জন্য শেষ মুহুর্তেও ঘষামাজার কাজ করে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী। জানা গেছে, ৭ শতাংশ জিডিপি লক্ষ্যমাত্রা ধরে প্রায় ৩ লাখ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করতে যাচ্ছেন তিনি। রাজস্ব আয় ধরা হচ্ছে ২ লাখ ৮ হাজার কোটি টাকা। ৯৭ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি এডিপি চূড়ান্ত করা হয়েছে। বাজেটে ঘাটতি ধরা হচ্ছে ৮৭ হাজার কোটি টাকার বেশি। যা জিডিপির ৫ শতাংশের বেশি।বাজেটে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা বাড়াচ্ছেন অর্থমন্ত্রী।জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মাধ্যমে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ৭৬ হাজার ৩শ ৭০ কোটি টাকা। এর বাইরের নানা কর ও বিভিন্ন ফি থেকে আসবে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। বৈদেশিক অনুদান থেকে ধরা হয়েছে ৭ হাজার কোটি টাকা।এনবিআর নিয়ন্ত্রিত করের মধ্যে আয়কর থেকে সবচেয়ে বেশী লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে, ৬৫ হাজার ৯শ ৩২ কোটি টাকা, ভ্যাট থেকে ৬৩ হাজার ৯শ ২ কোটি টাকা আর শুল্ক থেকে ৪৬ হাজার ৫শ ৩৬ কোটি টাকা।

অভ্যন্তরীণ ওবৈদেশিক উৎস থেকে ঘাটতি বাজেট মেটানো হবে। অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে যোগান আসবে ৫৫ হাজার ৮শ ৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে আসবে ৩৮ হাজার কোটি টাকা। জাতীয় সঞ্চয়পত্র থেকে আসবে ১৭ হাজার কোটি টাকা। বৈদেশিক সাহায্য পাওয়া যাবে ৩০ হাজার ৪শ ৪৫ কোটি টাকা।জানা গেছে, এবার বাজেটে ভর্তুকি বাবদ রাখা হচ্ছে ২৪ হাজার টাকার বেশি। সরকারি চাকুরেদের বেতন বাস্তবায়নের নির্দেশনা থাকবে। ব্যক্তি করমুক্ত আয়ের সীমা ২ লাখ ২০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা করা হতে পারে। ন্যূনতম আয়কর চার হাজার টাকা করা হতে পারে। করপোরেট করের হারও সবস্তরে ২ শতাংশ হারে কমানো হতে পারে।

বিনিয়োগ বাড়ানোই আগামী বাজেটে সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। সাত শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনে জিডিপির অন্তত: ৩১ শতাংশ বিনিয়োগ প্রয়োজন বলে মনে করেন তারা। প্রয়োজনীয় বেসরকারি বিনিয়োগ আনতে তাই বাজেটে সরকারি বিনিয়োগ বাড়ানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। দেশের অর্থনীতির আকার বাড়লেও প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ আসছে না। এতে জিডিপি প্রবৃদ্ধি আটকে আছে ছয় শতাংশের ঘরেই।রাজনৈতিক অস্থিরতা সত্ত্বেও চলতি অর্থবছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি সাড়ে ছয় শতাংশে পৌছেছে। বিনিয়োগ এসেছে জিডিপির প্রায় উনত্রিশ শতাংশ। আর মূলধনের অপচয় কমে দাড়িয়েছে চার দশমিক চার পাঁচ শতাংশ।সেক্ষেত্রে আগামী অর্থবছর সাত শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে আরও দুই শতাংশ।কিন্তু সে বিনিয়োগ আসতে হবে বেসরকারি খাত থেকে।

বিশেষ করে বিদেশি বিনিয়োগ। কিন্তু পর পর দু’বছরের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীরা অনিশ্চয়তায় ভুগছেন বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। দেশে প্রতিবছর যে বিনিয়োগ হয় তার ৭৫ শতাংশই বেসরকারি বিনিয়োগ। এ বিনিয়োগ আরো বাড়াতে জ্বালানি ও যোগাযোগ খাতকে প্রাধান্য দিয়ে লাখ কোটি টাকার উন্নয়ন বাজেট নিয়েছে সরকার।সরকারি বিনিয়োগ এক্ষেত্রে বেসরকারি বিনিয়োগকে আকৃষ্ট করবে আশা নীতি নির্ধারকদের।