দৈনিকবার্তা-চট্টগ্রাম, ০৩ জুন: চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের আমির ও সাবেক সাংসদ মাওলানা আ ন ম শামসুল ইসলামকে জেলগেট থেকে ফের আটক করেছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ।বুধবার বেলা ১২টার দিকে তাকে আটক করা হয়।বিষয়টি নিশ্চিত করে নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার এসএম তানভীর আরাফাত বলেন, জামায়াত নেতা শামসুল ইসলামের বিরুদ্ধে জেলার বিভিন্ন থানায় মামলা আছে। বুধবার জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর জেলা পুলিশের তথ্যের ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়।তিনি আরো বলেন, তাকে (আ ন ম শামসুল ইসলাম) জেলা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ডেপুটি জেলার মনির হোসেন বলেন, জামায়াত নেতা শামসুল ইসলাম ১৫টি মামলায় জামিন পান। সর্বশেষ পাঁচলাইশ থানায় দায়েরকৃত একটি মামলায় উচ্চ আদালত থেকে মঙ্গলবার জামিন আদেশ আসে। এরপর যাচাই-বাছাই শেষে বুধবার তাকে মুক্তি দেয়া হয়।
২০১৪ সালে ১২ মে নগরীর দেওয়ান বাজারে অবস্থিত নগর জামায়াতের কার্যালয়ে গোপন বৈঠকের সময় ২২ নেতাকর্মীসহ আ ন ম শামসুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর কোতোয়ালী থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে হাজতে প্রেরণ করা হয়। এরই মধ্যে নগরী ও জেলার বিভিন্ন থানায় করা সহিংসতার ৯টি মামলায়ও গ্রেপ্তার দেখানো হয়।এরপর মামলায় জামিনে মুক্তি পেয়ে গত বছরের ১৬ জুলাই জেল থেকে বের হলে সেসময় ফের তাকে জেলগেট থেকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে তাকে আরো ৫টি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলহাজতে রাখা হয়। সর্বশেষ বুধবার এসব মামলায় জামিনে মুক্তির পর জেলগেট থেকে ফের আটক করেছে পুলিশ। নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (এডিসি-ডিবি) এস এম তানভির আরাফাতবলেন, আ ন ম শামসুল ইসলামের বিরুদ্ধে জেলার বিভিন্ন থানায় মামলা আছে। জেলা পুলিশের তথ্যের ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়েছে। তাকে জেলা পুলিশের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার মনির হোসেন বলেন, শামসুল ইসলামের বিরুদ্ধে আগে ১০টি মামলা ছিল। সেসব মামলায় জামিন পেয়ে মুক্তির পর তাকে প্রথমে একবার জেলগেট থেকে আটক করা হয়েছিল। এরপর আরও পাঁচটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। সেসব মামলার জামিন আদেশ আসার পর বুধবার তাকে মুক্তি দেয়া হয়।সর্বশেষ মামলায় উচ্চ আদালতের জামিন আদেশ মঙ্গলবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে কারাগারে এসে পৌঁছে বলে জানান ডেপুটি জেলার মনির।২০১৪ সালের ১২ মে নগরীর দেওয়ান বাজারে নগর জামায়াতের কার্যালয়ে বৈঠকের সময় আ ন ম শামসুল ইসলামকে আটক করে পুলিশ।১০টি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর পর ওই বছরের ১৬ জুলাই তিনি জামিনে মুক্তি পান। কিন্তু জেলগেট থেকে শামসুলকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল।জামায়াত নেতা আ ন ম শামসুল ইসলাম জেলার সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসন থেকে নির্বাচিত সাবেক সাংসদ।