দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২ জুন: বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি একটা নির্দিষ্ট ফাঁদে আটকে আছে-এই বক্তব্যের সাথে দ্বিমত পোষণ করেছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল।তিনি বলেন, ‘একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বলেছে ষষ্ঠ পঞ্চ বার্ষিক পরিকল্পনা আমরা বাস্তবায়ন করতে পারিনি। এ কথাটা মোটেই ঠিক নয়। আমরা যখন লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করি তখন একটু বেশি করেই নির্ধারণ করি কেননা আমরা মনে করি এর কাছাকাছি যাওয়াটাই কৃতিত্বের।তিনি বলেন,বাংলাদেশ বিশ্বের চারটি দেশের একটি যে গত ছয় বছর ধরে ক্রমাগতভাবে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশের ওপরে রেখেছে। বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেও এ অর্জনকে ফাঁদে আটকে আছে’ এ তকমা দেয়া ঠিক নয় বলে তিনি মন্তব্য করেন।
দেশের জিডিপির ওপর বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) রচিত বাংলাদেশ ন্যাশনাল একাউন্টস্ স্ট্যাটিসটিকস : সোর্সেস এন্ড মেথড’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী একথা বলেন।মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁও পরিসংখ্যাণ ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব কানিজ ফাতেমা, পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য ড. শামসুল আলম ও বিবিএস মহাপরিচালক মোহাম্মদ আবদুল ওয়াজেদ বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশে জিডিপির প্রবৃদ্ধি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ইচ্ছে ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার কিন্তু আমরা যেতে পেরেছি যুক্তরাজ্য পর্যন্ত। এর মানে এই না আমরা ব্যর্থ হয়েছি। সবাইকে বুঝতে হবে যুক্তরাজ্য পর্যন্ত যাওয়াও কিন্তু কম কৃতিত্বের নয়!পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য যাতে সংবাদ মাধ্যম ও গবেষকসহ সবাই পেতে পারে সেজন্য মন্ত্রী ওয়েবসাইটে তা নিয়মিত আপলোড করা নির্দেশ দেন।তিনি বলেন, পরিসংখ্যান ব্যুরোকে এমন গবেষণা করতে হবে যা ধনী-গরিবের আয়- বৈষম্য কমাবে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠী সরাসরি উপকৃত হবে।’ মন্ত্রী এ সময় পরিসংখ্যান ব্যুরেতে পরিসংখ্যান বিষয়ে মাস্টার্স কোর্স চালু করা যায় কিনা তা যাচাই-বাছাই করার নির্দেশনা দেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হার প্রকাশ করতে হলে অন্যান্য গৌণ তথ্য-উপাত্তও ত্রৈমাসিক হতে হবে। এখন পর্যন্ত কৃষি খাতের তথ্যই কেবল ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে পাওয়া যায়। কিন্তু সেবা ও শিল্পে ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে পাওয়া যায় না।বিবিএস জানায়, বাংলাদেশের জিডিপি বিশ্লেষণে দেখা যায় বিনিয়োগ-সঞ্চয় ব্যবধান এখন কমে এসেছে। কিš‘ সরকারি বিনিয়োগ খুব একটা বাড়েনি। অপরদিকে, চলতি মূল্যে এ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপির পরিমান ১৫ লাখ ১৩ হাজার ৬শ’ কোটি টাকা।