দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০১ জুন: গত ৩১/০৫/১৫ খ্রি. তারিখ ডিএমপি’র গোয়েন্দা ও অপরাধতথ্য বিভাগ দক্ষিনখান থানাধীন আশকোনা বাজারে অবস্থিত হোটেল ডিরিফাজ এ অভিযান পরিচালনা করে অষ্ট্রেলিয়া মহাদেশে অবস্থিত দ্বীপরাষ্ট্র পালাউ দেশে প্রেরণকালে ২ মানবপাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো ১। মোঃ গোলাম রাব্বানী ও ২। মোঃ শাহাদাৎ হোসেন ওরফে মাসুদ। এ সময় উক্ত হোটেল থেকে পাসপোর্টসহ বিভিন্ন কাগজপত্র ও পাচারের জন্য হোটেলে রাখা ১৮ ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য যে, ৩১/০৫/১৫ তারিখ ১৪.৪৫ টায় দক্ষিন খানে আশকোনা বাজারে অবস্থিত হোটেল ডিরিফাজ এ অবস্থানরত ভিকটিম মোঃ কবির আহম্মেদ (৩৮) প্রদত্ত তথ্যের ভিত্তিতে উল্লেখিত হোটেলে অভিযান পরিচালনা করে পালাউ দেশে পাচারের অপেক্ষায় রাখা ১৮ ভিকটিকে উদ্ধার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অবৈধভাবে মানবপাচাারের সাথে যুক্ত প্রতিষ্ঠান জি,এল,সি প্রাইভেট লিমিটেডের এমডি মাহামুদুর রহমান, ম্যানেজার বাবুল হোসেন, ক্যাসিয়ার মোঃ মাহফুজুর রহমান, মোঃ মাহাবুব ও মোঃ ওবাইদুর পালিয়ে যায়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উদ্ধারকৃত ভিকটিম কবির আহম্মেদ ও অন্যান্যরা জানায় যে, মোঃ গোলাম রাব্বানী ও মোঃ শাহাদাৎ হোসেন ওরফে মাসুদ এর মাধ্যমে তারা পালাউদেশ সম্পর্কে জানতে পারে। পরবর্তীতে মোঃ শাহাদৎ হোসেন এর মাধ্যমে মালিবাগে অবস্থিত জি,এল,সি প্রাইভেট লিমিটেডের এমডি মাহামুদুর রহমান সাথে তাদের পরিচয় ঘটে। মাহামুদুর রহমান তাদের উচ্চ বেতনে পালাউ দেশে চাকুরীর প্রলোভন দেখায় এবং তাদের কাছ থেকে জনপ্রতি ৭,০০০০০/-(সাতলক্ষ) টাকা গ্রহণ করে। তাদের চাহিদা অনুযায়ী সমুদয় টাকা পরিশোধ করার পরও ইতোপূর্বে একাধিক বার পালাউ দেশে পাঠানোর তারিখ নির্ধারণ করেও পাঠাতে ব্যর্থ হয়।
অবশেষে গত ৩১/০৫/২০১৫ তারিখে মাহামুদুর রহমান মোঃ শাহাদৎ হোসেন এর মাধ্যমে তাদেরকে পালাউ দেশে পাঠানোর জন্য আশকোনা বাজারে অবস্থিত হোটেল ডি রাফাজে উঠায়। কিন্তু উক্ত হোটেলে অবস্থানরত অন্যান্য ০৫ জন এর ফ্লাইট এর সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও হোটেল ডি রাফাজের এমডি বা অন্যান্যদের পক্ষ থেকে কোন সদউত্তর না পেয়ে তাদের মনে ক্ষোভ ও সন্দেহ সৃষ্ট হয়। তখন বাদী মোঃ কবির আহম্মেদ ডিএমপি’র গোয়েন্দা ও অপরাধতথ্য বিভাগের সাথে যোগাযোগ করলে তাৎক্ষনিক অভিযান পরিচালনা করে গোয়েন্দা পুলিশ ভিকটিমদের উদ্ধার করে এবং অবৈধ মানবপাচারের সাথে যুক্ত ডি রাফাজের এজেন্ট মোঃ গোলাম রাব্বানী ও মোঃ শাহাদাৎ হোসেন ওরফে মাসুদকে গ্রেফতার করে।
পরবর্তী সময়ে ভিকটিম মোঃ কবির আহমেদ বাদী হয়ে গ্রেফতারকৃত ও পালিয়ে যাওয়া মানবপাচারকারীদের বিরুদ্ধে দক্ষিনখান থানায় মামলা রুজু করেন।
গোয়েন্দা ও অপরাধতথ্য (পশ্চিম) বিভাগের ডিসি শেখ নাজমুল আলম বিপিএম, পিপিএম (বার) এর সার্বিক নির্দেশনায়, এডিসি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম পিপিএম এর তত্ত্বাবধানে সহকারী পুলিশ কমিশনার মাহমুদ নাসের জনি নেতৃত্বে এ অভিযানটি পরিচালিত হয়।