দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৩১ মে: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী আবদুল কাদেরকে নির্যাতন ও জোর করে স্বীকারোক্তি আদায়ের চেষ্টার দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত খিলগাঁও থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত৷ওসি হেলাল রোববার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আলমগীর কবীরের আদালতে হাজির হয়ে জামিন চেয়েছিলেন৷ আদালত সেই আবেদন নাকচ করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন৷১৭ মে ওসি হেলালকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত৷ রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত না থাকায় আদালত তাঁকে পলাতক দেখিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন৷ ওসি হেলাল আদালতে আত্মসমর্পণ করে তাঁর আইনজীবী সাইদুর রহমানের মাধ্যমে জামিনের আবেদন করেন৷ পরে আদালত এ আদেশ দেন৷খিলগাঁওয়ের সাবেক ওসি হেলালউদ্দিন রোববার ঢাকার হাকিম আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পন করেন৷পরে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আলমগীর কবীর রাজ তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন৷
এ সময় হেলালের আইনজীবী হিসাবে আদালতে উপস্থিত ছিলেন সাইদুর রহমান মানিক৷২০১১ সালের ১৬ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিভাগের তত্কালীন ছাত্র কাদেরকে আটকের পর তাকে ছিনতাইকারী হিসেবে দেখানোর জন্য থানায় নিয়ে স্বীকারোক্তি আদায়ের চেষ্টা করেন ওসি হেলাল৷ কিন্তু স্বীকারোক্তি না পেয়ে চাপাতি দিয়ে তার পায়ে আঘাত করেন৷ওই মামলার রায়ে গত ১৭ মে হেলালকে তিন বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয় আদালত৷ পাশাপাশি তাকে দশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়, এই টাকা দিতে ব্যর্থ হলে তাকে আরও তিন মাস জেল খাটতে হবে৷ ফৌজদারী আইনের ৩২৪ ধারা অনুযায়ী, মৃতু্যর কারণ ঘটাতে পারে এমন কোনো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের দায়ে এটাই সর্বোচ্চ সাজা৷ পুলিশের তদন্তে নির্দোষ প্রমাণিত কাদের বর্তমানে একজন সরকারি কর্মকর্তা৷ বিসিএস দিয়ে তিনি শিক্ষকতা করছেন লক্ষ্মীপুর সরকারি মহিলা কলেজে৷ওই ঘটনার কারণে পুলিশ বাহিনী থেকে বরখাস্ত হওয়া হেলাল রায়ের দিন আদালতে হাজির ছিলেন না৷তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে পেটের পীড়ার কথা বলে রায় পেছানোর আবেদন পাঠালে বিচারক তা নাকচ করে সেদিনই রায় ঘোষণা করেন৷