দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৯ মে: যাদের হাতে রাষ্ট্রীয় ও রাজনৈতিক ক্ষমতা তারাই ধর্ষকদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতির প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠন (বাগাছাস)আয়োজিত রাজধানীতে গারো আদিবাসী তরুণীর ধর্ষকদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে আয়োজিত গণসমাবেশে এই মন্তব্য করেন।এসময় সাকী তার বক্তব্যে বলেন, ধর্ষণ শুধু গায়ের জোরেই হয় না এর সাথে আরো একটি ক্ষমতা রয়েছে আর তা হল রাজনৈতিক ক্ষমতা। যা ব্যবহার করে ধর্ষণসহ নানা ধরনের অপরাধমুলক কাজ পরিচালনা করেন। যেভাবে নারীর উপর নিপীড়ন পরিচালিত হচ্ছে সেজন্য সংগঠিতভাবে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আমাদের রাজপথে নামতে হবে। যাদের হাতে রাষ্ট্রীয় ও রাজনৈতিক ক্ষমতা তারাই ধর্ষকদের পৃষ্ঠপোষকতা করে থাকে। বলেও মন্তব্য করেন।
সরকারকে উদ্দেশ্য করে জোনায়েদ সাকী বলেন, ‘ক্ষমতায় যাওয়ার পর আমাদের সরকার আর জনগনের উপর নির্ভর থাকে না। তারা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও মাস্তান বাহিনীর উপর নির্ভর থাকে। আর এই সরকারের সময়ে পুলিশ এতটাই খোলামেলা যে,তারা নিজেরাই বলে, আমাদের উপর ভর করে সরকার টিকে। এটাতো আর বলার অপেক্ষা রাখে না যে সরকার এখন পুলিশ বাহিনীর উপর দায়বদ্ধ। এর নাম স্বৈরতন্ত্র ফ্যাসিবাদ।বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘বিএনপি যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে দল গঠন করায় জন বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।এ অবস্থায় সরকার স্বৈরতান্ত্রিক ফ্যাসিবাদী ও বিএনপি দেউলিয়া।বিরোধী দল যেভাবে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এবং এমন পরিস্থিতি যানমাল রক্ষার্থে একটি নতুন রাজনৈতিক দলের উত্থান দরকার মন্তব্য করে সাকী বলেন, ‘আজ যে নারী ধর্ষিত হচ্ছে তাকে সমাজের কাছ থেকে মুখ লুকিয়ে থাকতে হচ্ছে। তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই লজ্জা ধর্ষিত নারীর নয়, লজ্জা ধর্ষকদের। ধর্ষকদের পুরো সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে হবে।
গণসমাবেশে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি আসম আব্দুর রব বলেন, ধর্ষিতা গারো নয়, সে বাঙ্গালী সন্তান। এক বছরে ১৮ হাজার নারী ধর্ষিত হয়েছে। দেশের পরিস্থিতি আজ এতটাই বিকৃত হয়ে গেছে। এই অবস্থা হবে আগে জানলে মুক্তিযুদ্ধ করতে যেতাম না।তিনি বলেন, যারা ধর্ষণ করছে তাদের জন্য ফাসিই যথেষ্ট নয়, তাদেরকে সোহরাওয়ার্দীতে লক্ষ কোটি জনগণের সামনে ফায়ার করে মারা উচিত। মানুষই ধর্ম সৃষ্টি করেছে তাই সবার আগে মানুষই সত্য।তিনি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, আপনি আদিবাসীদের প্যাগোডা, ঘর বাড়ি তুলে দিতে পারবেন। কিন্তু একজন নারীর সম্ভ্রম ফিরিয়ে দিতে পারবেন না।গণসমাবেশে লেনার্ড সুবিট রাখার সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ব্যারিষ্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, ছাত্র ফেডারেশনের সহসভাপতি আল জাহিদ, বাগাছাসের সাবেক সভাপতি শেরিন আরেং সেং, জাংকা রিছিল প্রমুখ।