দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৮ মে: শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, পবিত্র শবেবরাত ও রমজানে জনসাধারণের মধ্যে ন্যায্যমূল্যে মানসম্পন্ন চিনি সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে।এ লক্ষ্যে প্যাকেটজাত আখের চিনি বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশন (বিএসএফআইসি)।তিনি বৃহস্পতিবার রাজধানীর দিলকুশায় চিনি শিল্প ভবনে এ বিক্রয় কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।বিএসএফআইসি’র চেয়ারম্যান এ কে এম দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিল্প সচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বিশেষ অতিথি ছিলেন।শিল্পমন্ত্রী বলেন, জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে উন্নতমানের দেশি চিনি সরবরাহ নিশ্চিত করতে প্যাকেটজাত চিনি বিক্রির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। রোজার মাসে দেশে যে পরিমাণ চিনি দরকার, সরকারের কাছে সে পরিমাণ চিনি মজুদ রয়েছে। ফলে পবিত্র রমজানে কেউ অতি মুনাফার সুযোগ পাবে না বলে তিনি উল্লেখ করেন।শুধু পবিত্র রমজান মাসেই নয়, সারা বছর রাজধানীসহ দেশব্যাপী এ কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে বিএসএফআইসি কর্মকর্তাদের তিনি নির্দেশ দেন।
আমির হোসেন আমু বলেন, চিনিশিল্প লাভজনক করতে বর্তমান সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলগুলোতে পণ্য বৈচিত্রকরণের উদ্যোগ নিয়েছে।বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসুচির আওতায় ঠাকুরগাঁও চিনিকলে পুরাতন যন্ত্রপাতি প্রতিস্থাপনের পাশাপাশি সুগারবিট থেকে পরীক্ষামূলকভাবে চিনি উৎপাদনের প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। নর্থবেঙ্গল চিনিকলে অমৌসুমে বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং ‘র’-সুগার হতে বছরে ৪০ হাজার মেট্রিক টন ক্ষমতাসম্পন্ন সুগার রিফাইনারি স্থাপন প্রকল্পের কাজও এগিয়ে চলছে। পর্যায়ক্রমে অন্য চিনিকলেও এসব কর্মসূচি বাস্তাবয়ন করা হবে। এর মাধ্যমে চিনিশিল্প রাষ্ট্রায়ত্ত সবচেয়ে বড় শিল্পে পরিণত হবে।শিল্পমন্ত্রী বলেন, চিনিকলে আখের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং আখ চাষিদের স্বার্থে সম্প্রতি প্রতি কুইন্টালে আখের দাম ২৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৭৫ টাকা করা হয়েছে।
শিল্পসচিব বলেন, চিনির মাত্র ১০ শতাংশ আখ থেকে উৎপাদিত হয়ে থাকে। রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলে আখ থেকে উৎপাদিত হওয়ায় এ চিনির মিষ্টতা, গুণগতমান ও ফুড ভ্যালু অনেক বেশি। তিনি নির্ভেজাল এ চিনির প্রচারণা জোরদার করতে গণমাধ্যমের প্রতি আহবান জানান। দেশের চাহিদার অতিরিক্ত চিনি আমদানি করে চিনির বাজার নষ্টের অপচেষ্টা বন্ধের উদ্যোগ নেয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আখ থেকে উৎপাদিত এ চিনির এক কেজির প্যাকেট ৪২ টাকা এবং দুই কেজির প্যাকেট ৮৩ টাকায় বিক্রি হবে। খুচরা বিক্রেতারা এক কেজির প্যাকেট সর্বোচ্চ ৪৬ টাকা এবং দুই কেজির প্যাকেট ৯০ টাকা বিক্রি করতে পারবেন।উল্লেখ্য, বর্তমানে বিএসএফআইসি’র কাছে চিনির মজুদ রয়েছে ১ লাখ ৫৪ হাজার মেট্রিক টন।