দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৮ মে: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম প্রসবজনিত কারণে মাতৃ মৃত্যুহার শূন্যের কোঠায় আনতে সকলের সহযোগিতা কামনা করে বলেছেন, মাতৃ ও শিশুমৃত্যু হার হ্রাসে অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছে বাংলাদেশ।তবে এখনও অনেক নারী গর্ভধারণ ও প্রসবজনিত জটিলতায় মারা যায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, সচেতনতার অভাব ও বাল্যবিবাহ এর পেছনে ভূমিকা রাখছে। তাই এ ক্ষেত্রে সচেতনতামূলক কর্মসূচি জোরদার করতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।বিশ্ব নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার ঢাকায় চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও চ্যানেল আই-এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত মায়ের কথা শীর্ষক মেলার উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। তিনি সব মায়ের প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে বেলুন উড়িয়ে নিরাপদ মাতৃত্ব দিবসের উদ্বোধন করেন।এ সময় উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী মহসীন আলী, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সচিব সৈয়দ মনজুরুল হাসান, ইমপ্রেস টেলিফিল্ম চ্যানেল আই ব্যব¯’াপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে এম নূর-উন-নবী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক দীন মো. নূরুল হক প্রমুখ।অনুষ্ঠানে ‘কিশোরীর সুস্থ বার্তা নামে একটি বইয়ের মোড়ক উম্মোচন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী। এ আয়োজনের সহযোগিতায় ছিল সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, ইনসেপ্টা, ওয়েল ফুড, ওয়াটার এইড, পিপিডি, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিভাগীয় শহর থেকে শুরু করে ইউনিয়ন পর্যায়ে মা ও শিশু স্বাস্থসেবার ব্যবস্থা করেছে সরকার। ওই সকল সেবাকেন্দ্রে প্রসূতি মায়ের সেবা গ্রহণ করা দরকার। গর্ভকালীন সময়ে মায়েদের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের পরামর্শ নিতে হবে। সর্বোপরি বাসাবাড়িতে নয়, নিকটস্থ স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে প্রশিক্ষিত ধাত্রী দ্বারা সন্তান প্রসব করালে প্রসূতি মায়ের মৃত্যু ঝঁকি বহুলাংশে হ্রাস পায়।মোহাম্মদ নাসিম বলেন, মা ও শিশু মৃত্যুহার কমিয়ে আনার সাফল্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন। বর্তমান সরকার স্বাস্থ্য খাতে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে।শুধু আমাদের একার পক্ষে শত ভাগ সফল হওয়া সম্ভব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, সমন্বিতভাবে কাজ করলে এ ক্ষেত্রে আরো এগিয়ে যাওয়া সম্ভব।২০১৫ সাল নাগাদ স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর উন্নয়ন কার্যক্রমে মাতৃমৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৩-এ কমিয়ে আসার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি জেনেভায় অনুষ্ঠিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মেলনেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালকসহ বিশ্ব নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধি বিশেষ করে মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবার প্রশংসা করেছেন।