দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৮ মে: আসন্ন বাজেটের আকার ৩ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।তিনি আরো বলেছেন, দেশের পুঁজিবাজার এখন ভালো অবস্থানে রয়েছে। মনোপলি করে শেয়ারের দাম দ্বিগুণ করার সুযোগ বন্ধ হয়েছে।অর্থমন্ত্রী বলেন, সারাবিশ্বে পুঁজিবাজারে সবসময়ে দাম বাড়া-কাম আছে। তবে দাম বেড়ে দ্বিগুণ হলে তখন অর্থনীতির জন্য মারাত্মক ক্ষতি হয়। তিনি বলেন, আমরা পুঁজিবাজার আইনের ব্যাপক সংস্কার করেছি। ফলে, আমি মনে করি, পুঁজিবাজারে দাম দ্বিগুণ করার সুযোগ নষ্ট হয়ে গেছে। অর্থমন্ত্রী বৃহস্পতিবার সকালে তার সচিবালয়ের কার্যালয়ে ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) ক্যাশ ডিভিডেন্টের চেক গ্রহণকালে এ মন্তব্য করেন।আইসিবি বোর্ড অব ডিরেক্টরস-এর চেয়ারম্যান ড. এস এম মাহফুজুর রহমান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম ফায়েকুজ্জামান অর্থমন্ত্রীর কাছে এই চেক হস্তান্তর করেন।
আইসিবি’র পরিচালনা বোর্ডের সদস্যরা এবং কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।সরকারের মালিকানাধীন ১ কোটি ১৩ লাখ, ৯০ হাজার ৬২৫টি শেয়ারের ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরের লভ্যাংশ বাবদ ৫১ দশমিক ২৫ কোটি টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়। আইসিবি প্রতি শেয়ারের বিপরীতে ৪৫ টাকা হারে মোট শেয়ারের বিপরীতে ১৮৯ দশমিক ৮৪ কোটি টাকার লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়। কোম্পানী ২০১৪ অর্থবছরে ৩১০ দশমিক ৫১ কোটি টাকা মুনাফা করেছে।অর্থমন্ত্রী ক্যাশ ডিভিডেন্ট প্রদান অনুষ্ঠানকে একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং আনন্দঘন অনুষ্ঠান হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, সরকার সাধারণত কোনো রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান থেকে এ ধরনের লভ্যাংশ পাবার সুযোগ কম পায়।অর্থমন্ত্রী বলেন, পুঁজিবাজার উন্নয়নে আইসিবি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে এখন ভালো পুঁজিবাজার রয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনীতির প্রায় ৮০ ভাগ পরিচালনা করে বেসরকারি সেক্টর। সরকারের দায়িত্ব এখন বেড়েছে এবং সরকার এখন অধিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।আইসিবি ৩০ বছরের মধ্যে গত ৫ বছরে ২ হাজার ৪৮৭ কোটি টাকা আয় করেছে। ১৯৭৬ সালে আইসিবি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো। ৩৩ বছরে আয় করেছে ৪ হাজার ৬৭৩ কোটি টাকা। গত ৪ বছরে অভ্যাংশ দিয়েছে ৫১০ কোটি টাকা।ড. এস এম মাহফুজুর রহমান বলেন, আইসিবি একটি শক্তিশালি প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেশের উন্নয়ন কর্মকান্ডে অবদান রাখছে।আইসিবি পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান আইসিবি’র কর্মকান্ডের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে আরো অবদান রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন।