493

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৮ মে: ভারতের সঙ্গে স্থলসীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতীয় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সফলতা অর্জনের জন্য জাতীয় নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে তাকে সংবর্ধনা দেয়া হবে৷ শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টায় রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হবে৷ ইতোমধ্য সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে৷

এ সংবর্ধনা দিতে এর আগে দেশবরেণ্য বুদ্ধিজীবী, কবি, সাহিত্যিক, শিক্ষক, লেখক, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার বিশিষ্ট নাগরিকদের নিয়ে ২০২ সদস্যের জাতীয় নাগরিক কমিটি গঠন করা হয়৷এদিকে জাতীয় নাগরিক কমিটির এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠান সফল করতে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে৷এ উপলক্ষে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে একাধিকবার যৌথসভা এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে একাধিকবার বর্ধিত সভা করা হয়েছে৷জাতীয় নাগরিক কমিটির সংবাদ সম্মেলনে কমিটির আহ্বায়ক সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক জানান, পুরো অনুষ্ঠানটি দুই ঘন্টার মধ্যে শেষ করার পস্তুতি নেয়া হচ্ছে৷ প্রতিকূল আবহাওয়ার কথা বিবেচনায় রেখে ও লক্ষাধিক মানুষের অংশগ্রহণের ব্যবস্থা রেখে মঞ্চ ও অনুষ্ঠানস্থল সাজানো হয়েছে৷সংবর্ধনা অনুষ্ঠান সম্পর্কে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকারের বিভিন্ন অর্জন নিয়ে উত্‍সবের একটি মর্মসঙ্গীত রচিত হয়েছে৷ অনুষ্ঠানে এ সঙ্গীত পরিবেশন করা হবে৷ এরপর অভিজ্ঞানপত্র পাঠ ও সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে৷

সব শেষে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিক-নির্দেশনামূলক ভাষণ দেবেন৷ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বৃহস্পতিবার সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, ভূগর্ভস্থ জাদুঘরের পাশের পানির ফোয়ারার ঠিক দক্ষিণ পাশেই উত্তর দিকে মুখ করে তৈরি করা হয়েছে মঞ্চ৷ মূল মঞ্চের দৈঘর্্য হবে ৪৮ ফুট এবং প্রস্থ ৩০ ফুট৷ এর সামনেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য তৈরি করা হচ্ছে আরেকটি মঞ্চ৷ যার দৈঘর্্য ৪৮ ফুট এবং প্রস্থ ৩৬ ফুট৷ ডেকোরেশনের কাজে নিয়োজিত মো. বেলাল হোসেন জানান, মূল মঞ্চসহ ৩৫০ ফুট দৈঘর্্য এবং ২১০ ফুট প্রস্থের এলাকাজুড়ে টানানো হচ্ছে সামিয়ানা৷ এটাই হবে মূল প্যান্ডেল৷ এর মধ্যে ২০ হাজার চেয়ার বসানোর ব্যবস্থা করা হবে৷ প্রয়োজন হলে আরও ১০০ বর্গফুট এলাকা এর আওতায় আনা হবে৷ সেখানে বসানো যাবে আরও পাঁচ হাজার চেয়ার৷