দৈনিকবার্তা-ঠাকুরগাঁও, ২৮ মে: ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জগন্নাথপুর এলাকায় ভালুকাই গ্রামে এক প্রভাবশালীর অত্যাচারে দু’টি সংখ্যালঘু পরিবার এখন ঘরছাড়া। একাধিকবার ইউনিয়ন পরিষদসহ বিভিন্ন মহলে অভিযোগ করার পরেও কোন বিচার পাইনি বলে ঘর ছেড়ে পালিয়েছে ওই দু’টি পরিবার।অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার জগন্নাথপুর এলাকায় ভালুকাই গ্রামের সংখ্যালঘু শ্রী চন্দ্রন কুমার ওই এলাকার কার্তিক চন্দ্রের কাছে ২৬ শতক জমি বিক্রয় করে। জমির বিক্রয়ের জের ধরে ওই এলাকায় স্থানীয় প্রভাবশালী রুহুল আমিন চন্দনকে এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য হত্যাসহ বিভিন্ন প্রকার হুমকী প্রদান করে।চন্দন বিষয়টি এলাকায় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানালে এলাকায় মানুষ রুহুল আমিনকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। আবারো নানা রকম হুমকী ভয়ে কিছুদিন আগে চন্দন বাড়ি ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যায় বলে।
এলাকাবাসী জানান, এর পরেও চলে জমি ক্রয়কারী কার্তিক চন্দ্রের পরিবারে উপর রুহুল আমিনের অত্যাচার। রুহুল আমিন ক্রয়কৃত জমি জের পূর্বক লিখে নিতে চাইলে কার্তিক অস্বকৃতি জানায়। পরে রুহুল আমিন কয়েকদিন আগে কার্তিকের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। এতে কয়েকটি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এই ঘটনায় কার্তিক ইউনিয়ন পরিষদের লিখিত অভিযোগ করলে চেয়ারম্যান রুহুলের বিরুদ্ধে নোটিশ প্রেরন করে হাজিরের জন্য। কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালী হওয়ার কারণে ইউনিয়ন পরিষদের হাজির হয়নি রুহুল আমিন। বিষয়টি সুরাহা না হওয়ায় কার্তিক বিচারের দাবিতে ইতোমধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ডিআইজি রংপুর, জেলা প্রশাসক ঠাকুরগাঁও, জেলা পুলিশ সুপার ঠাকুরগাঁও, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ঠাকুরগাঁও থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।জগন্নাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান লিটন জানান, কার্তিকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে রুহুল আমিনকে একাধিকবার পরিষদের তলব করা হয়েছে। কিন্তু সে আইন অমান্য করেছে।ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মেহেদি হাসান জানান, অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করেছে। তদন্ত অনুয়ায়ী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।