দৈনিকবার্তা-ঢাকা,২৭ মে: ভাগ্যিস পাকিস্তান নিজেদের স্কোরটা ৩৫০ পার করে নিয়ে গিয়েছিল পৌনে চারশ’র (৩৭৫) কোঠায়। না হল নিশ্চিত নিজেদের দর্শকদের সামনে লজ্জা পেতে হতো আজহার আলির দলকে। ৩৭৫ রান করেও নিজেদের এক মুহূর্ত নিরাপদ ভাবতে পারেনি পাকিস্তান। বিশাল রানের নীচে চাপা পড়েও অসাধারণ লড়াই করেছে জিম্বাবুয়ে। ৫ উইকেটে তুলে ফেলেছিল ৩৩৪ রান। শেষ পর্যন্ত মাত্র ৪১ রানে হেরেছে সফরকারীরা।
পাকিস্তানের করা ৩৭৫ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে সারাক্ষণই লড়াই করে গেছে জিম্বাবুয়ে। ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করেন এল্টন চিগুম্বুরা। ৯৫ বলে তার ১১৭ রানের অসাধারণ ইনিংসের ওপর ভর করে এত বড় রান তাড়া করার সাহস দেখায় জিম্বাবুইয়ানরা।সিবান্দা আর সিকান্দার রাজা মিলে গড়েন ৫৬ রানের জুটি। ৩৬ রান করে আউট হন রাজা। এরপর ৬৫ রানের মাথায় আউট হয়ে যান সিবান্দাও। তৃতীয় উইকেটে মাসাকাদজা আর চিগুম্বুরা মিলে গড়েন ১২৪ রানের জুটি। ৭৩ বলে ৭৩ রান আউট হন মাসাকাদজা। ৪টি বাউন্ডারি আর ২টি ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান তিনি।
মাসাকাদজা আউট হলেও শন উইলিয়ামসকে নিয়ে ৭৪ রানের জুটি গড়েন চিগুম্বুরা। এরই ফাঁকে ৮৯ বলে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পেয়ে যান তিনি। শেষ পর্যন্ত ৯৫ বলে ১১৭ রানে ওয়াহাব রিয়াজের বলো বোল্ড হন তিনি। তার আগেই অবশ্য ২৮ বলে ৩৬ রান করে আউট হয়ে গিয়েছিলেন উইলিয়ামস।শেষ দিকে মুতুম্বামি আর উৎসেয়া মিলে জুটি গড়ে আর উইকেট হারাতে দেননি। ৪১ রানের জুটি গড়ে জিম্বাবুয়েকে নিয়ে এসেছিলেন জয়ের কাছাকাছি।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান ৩ উইকেটে করে ৩৭৫ রান। অসাধারণ সেঞ্চুরি করেন শোয়েব মালিক। ২ বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেই সেঞ্চুরির দেখা পেলেন তিনি। ৭৬ বলে খেলেন ১১২ রানের অসাধারণ এক ইনিংস। ইনিংসের একেবারে শেষ বলে আউট হন তিনি। ফলে চারজন মাত্র ব্যাট করার সুযোগ পান। আর কী অসাধারণ!!! চারজনের ফিগার দেখলেই বোঝা যায় কতটা দাপট দেখিয়েছে পাকিস্তান। হাফিজ ৮৬, আজহার আলি ৭৯, শোয়েব মালিক ১১২ এবং হারিস সোহেল অপরাজিত ৮৯।