1432728379

দৈনিকবার্তা-ঢাকা,২৭ মে: প্রলয়ঙ্করী ঝড়ের আঘাতে যুক্তরাষ্ট্র ও মেঙ্েিকাতে অনত্মত ২৮ জনের মৃতু্যর খবর পাওয়া গেছে৷ এদিকে মঙ্গলবার প্রবল বর্ষণের কারণে টেঙ্াসের মধ্যাঞ্চল পস্নাবিত হয়ে গেছে৷হিউস্টনের মেয়র আরো ভয়াবহ বন্যা দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করেছেন৷যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য টেঙ্াস ও ওকলাহোমা এবং মেঙ্েিকার উত্তরাঞ্চলে বিগত কয়েক দিন ধরে টর্নেডোসহ বৈরী আবহাওয়া চলছে৷ দেশ দুটিতে বেশ কয়েকজন নিখোঁজ ও আহত হয়েছে৷টেঙ্াসের হিউস্টন নগরীতে মাত্র কয়েক ঘন্টায় ১০ ইঞ্চির বেশি (২৫ সেন্টিমিটার) বৃষ্টিপাত হয়েছে৷ বিগত ১০ বছরের মধ্যে এটাই এই অঞ্চলের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাতের ঘটনা৷হিউস্টনের রাসত্মাগুলোতে কয়েকশ গাড়ি পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে৷ এগুলোর কোন কোনটি সম্পূর্ণভাবে পানিতে নিমজ্জিত হয়ে গেছে৷

বহু মানুষ তাদের গাড়িতে আটকা পড়েছে৷ অনেকের বাড়ির চারপাশে বন্যার পানি বেড়ে যাওয়ায় তারাও আটকা পড়েছে৷ খবর এএফপি’র৷মেয়র অ্যানিস পারকার জানান, গত রাতে বন্যার পানিতে ডুবে দুই জনের মৃতু্য হয়েছে৷তিনি আরো বলেন, ‘আমি মানুষকে নিরাপদে থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি৷ আজ রাতে আরো বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে আমি তাদের সাবধান করে দিচ্ছি৷তিনি যুক্তরাষ্ট্রের চতুর্থ বৃহত্তম নগরীর বাসিন্দাদের বাড়িতে থাকার জন্য আহ্বান জানান৷তিনি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, নগরীর বিভিন্ন স্থানে গাড়ি পরিত্যক্ত অবস্থায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে৷

তিনি আরো জানান, জরুরি কমর্ীরা এই সব পরিত্যক্ত যানবাহনগুলোতে কেউ আটকা পড়ে আছে কিনা তা দেখতে সেগুলোর কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে৷চলতি সপ্তাহে স্থানীয় বাসিন্দারা আবারও প্রাণনাশকারী বৈরী আবহাওয়ার সম্মুখীন হতে পারে বলে তিনি সতর্ক করেন৷এই নারী মেয়র বলেন, যদি আপনি নিচু এলাকার বাসিন্দা হন, তবে সপ্তাহানত্মে আবারও আকস্মিক বন্যার ব্যাপারে আপনাদের সতর্ক করছি৷ আপনারা উঁচু এলাকায় আশ্রয় নিন৷ এটা জীবন-মরণের প্রশ্ন৷স্টেডিয়ামে পানি উঠে গেলে একটি এনবিএ ম্যাচ দেখতে আসা প্রায় ২০০ দর্শক কয়েক ঘন্টা আটকা পড়ে৷ এদের অনেকে টয়োটা সেন্টার অ্যারিনায় রাত কাটাতে বাধ্য হয়৷প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা টেঙ্াসের এই বন্যাকে ভয়াবহ আখ্যায়িত করে জানিয়েছেন, তিনি রাজ্য গভর্নর গ্রেগ অ্যাবোটকে জরম্নরি সহায়তার প্রসত্মাব দিয়েছেন৷টেঙ্াসের উত্তরে ওকলাহোমায় আরো দুই জনের মৃতু্য হয়েছে৷ হেইস কাউন্টিতে সপ্তাহানত্মে ভয়াবহ আকস্মিক বন্যায় একটি বাড়ি ধসে পড়লে বেশ কয়েকজন নিখোঁজ হয়৷সোমবার সিউদাদ অকুনায় ছয় সেকেন্ড স্থায়ী ভয়াবহ টর্নেডোর আঘাতে অনত্মত ১৩ জনের মৃতু্য হয়েছে এবং কয়েকশ বাড়িঘর মাটির সঙ্গে মিশে গেছে৷টর্নেডো ঘন্টায় ২৭০ থেকে ৩০০ কিলোমিটার (১৬৮ মাইল থেকে ১৮৬ মাইল) বেগে বয়ে যায়৷ এ সময় বাবা-মার কাছ থেকে একটি শিশুকে ঝড়ো হওয়া উড়িয়ে নিয়ে যায়৷মঙ্গলবার শিশুটির মৃতদেহ পাওয়া যায়৷ফেডারেল সরকার জানায়, টর্নেডোর আঘাতে ২৪৭টি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে এবং আরো ৪৫০টি বাড়ির ৰতি হয়েছে৷