দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৭ মে: কম্পিউটার জগতে এক বিষ্ময়কর সম্ভাবনা নিয়ে আবির্ভূত হয়েছে রাইশা রহমান। বয়স মাত্র তিন বছর এই বাংলাদেশী শিশুটির। কম্পিউটার জ্ঞানের দিক দিয়ে বয়সকে হার মানিয়েছে এই ছোট শিশুটি। প্রযুক্তির জ্ঞান এই শিশুটিকে করেছে অন্য শিশুদের থেকে আলাদা। ল্যাপটপ, কম্পিউটার মোবাইল এবং ট্যাবলেট নিখুতভাবে অপারেট করতে পারে রাইশা।তার প্রযুক্তির সম্পর্কে জ্ঞানের কথা শুনলে মনে হবে কোন কল্পকাহিনী কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এ কোন কল্পকাহিনী নয়, এটাই বাস্তবতা।
শিশুটির কম্পিউটার নিয়ে আগ্রহ ছোটকাল থেকেই। বয়স যখন তার ৩ মাস তখণ থেকেই অদ্ভুত দৃষ্টিতে কম্পিউটারের দিকে তাকিয়ে থাকত রাইশা। কে জানে, হয়তবা তখনই মনস্থির করেছিল এই ছোট শিশুটি তার আগমনী বার্তা বিশ্বকে দেয়ার জন্য। শিশুটি যে কোন ভার্সন এর উইনডোস অপারেট করতে পারে। এই বছরের শিশুরা যখন পড়ে থাকে খেলনা নিয়ে, রাইশা তখন অবিরাম খেলে যায় কম্পিউটার গেমস। হাউস অফ ডেথ, এ্যাংরি বার্ড, সুপার মারিও, কিং অফ ফাইটার, সহ প্রায় ১০০টি গেমস খেলে শেষ করেছে বিষ্ময় বালিকাটি। হোক কম্পিউটার অথবা মোবাইল, এমন কোন এ্যাপ্লিকেশন নেই যা রাইশা ব্যবহার করতে পারে না। সফটওয়্যার ইনষ্টল এবং আন ইনস্টল করা তার কাছে সময়ের ব্যাপার মাত্র।
পেনড্রাইভ অথবা মোবাইল থেকে কম্পিউটারে ফাইল কপি করা থেকে শুরু করে যে কোন ফোল্ডার হাইড করতে পারে রাইশা। শিশুটির এশটি বিশেষ গুন হচ্ছে অন্যদের কম্পিউটার নিয়ে তার আগ্রহগুলো দেখানো। শুধু তাই নয় স্কাইফি ব্যবহার করে কল করতে পারে রাইশা রহমান। কম্পিউটারের প্রায় সবগুলো টার্ম এর সাথে পরিচিত বিষ্ময় বালিকাটি। আবিষ্কারের দিক দিয়েও অনেক আগ্রহ শিশুটির। গেমস খেলতে খেলতে ক্লান্ত হয়ে গেলে রাইশা ব্যবহার করে ইফটিউব। সেখানে সে দেখে বিভিন্ন ধরনের আবিষ্কারের ভিডিও।
শিশুটি বারবি এবং ডরেমন কার্টুন দেখেও সময় পার করে ইউটিউবে। তার মা কামরুন নাহার বলেন, রাইশা দৈনিক ৮-১০ ঘন্টা সময় পার করে কম্পিউটার ব্যাবহার করে। ফটোসপের অল্প কিছু কাজও করতে পারে রাইশা রহমান। এই বয়সে অনেক শিশু আছে যারা হয়তো কম্পিউটার অথবা মোবাইলের কিচু এ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করতে পারে। মোবাইল ফোন কাছে পেলেই সেলফি তোলা থেকে শুরু করে এ্যাংরি বার্ড, টেম্পল রান এবং কেনডি ক্রাস এর মতো গেমস খেলে রাইশা। বর্তমানে তিন বছরের একজন পরিণত কম্পিউটার অপারেটর রাইশা রহমান ছাড়া কাউকে পাওয়া যায়নি। রাইশার বুদ্ধিমত্তার নিয়ে কথা বললেনও বেরিয়ে আসে অৎানা কিছু তথ্য। এসব শিশুদের বুদ্ধিমত্তা লেবেল সাধারন শিশুদের থেকে অনেক উপরে থাকে- মনে করেন কিছু ডাক্তার। রাইশার বর্তমান অবস্থা থেকে বলা যায়, সেদিন আর বেশী দূরে নয় যখন হয়তো শিশুটি তার নামকে আরও উপরে নিয়ে যাবে সবচেয়ে ছোট কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে।