দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৬ মে: সাত মামলায় হাইকোর্ট থেকে চার সপ্তাহের আগাম জামিন পেলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া।বিস্ফোরক দ্রব্য ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে পুলিশের দায়ের করা রাজধানীর মিরপুর ও পল্লবী থানার সাতটি মামলায় হাইকোর্ট তাকে আগাম জামিন দেন।এ বিষয়ে দায়ের করা এক আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি মো. খসরুজজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।আদালতে ব্যারিস্টার রফিকুলের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিমকোর্ট বারের সাবেক সভাপতি এজে মোহাম্মাদ আলী।
এসময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন বারের সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন, সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীন, সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, অ্যাডভোকেট মো. ফারুক হোসেন।রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফজলুর রহমান খান (এফ আর খান)। এদিকে গত বৃহস্পতিবার রফিকুল ইসলাম মিয়ার পক্ষে জামিন আবেদনটি ফাইল করেন ব্যারিস্টার রাগিব রউফ চৌধুরী।একই অভিযোগে দায়ের করা যাত্রাবাড়ী থানার আরো একটি মামলার শুনানি হয়েছে। তবে এ মামলার আদেশ পরে দেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
জানতে চাইলে ব্যারিস্টার রাগিব রউফ চৌধুরী বলেন, হরতাল-অবরোধে রফিকুল ইসলাম মিয়ার বিরুদ্ধে রাজধানীর তিন থানায় মোট আটটি মামলা দায়ের করে পুলিশ। এগুলোর মধে সাতটির জামিন আদেশ দিয়েছেন আদালত। একটির আদেশ পরে দেয়া হবে।২০ দলীয় জোটের সাম্প্রতিক আন্দোলন কর্মসূচির সময় মিরপুর ও পল্লবী থানায় নাশকতার বিভিন্ন অভিযোগে এ মামলাগুলো দায়ের করা হয়।মঙ্গলবার ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়ার পক্ষে মোট আটটি মামলায় আগাম জামিনের আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। তবে সাতটি মামলায় জামিন মঞ্জুর করলেও একটি মামলার বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত জানায়নি আদালত।
এদিকে নাশকতার মামলায় দলটির অপর স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের জামিন আবেদন নাকচ করেছেন আদালত। মঙ্গলবার জামিন আবেদনের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা জামিন নামঞ্জুর করেন।চকবাজার থানার নাশকতা মামলায় গয়েশ্বরের পক্ষে আইনজীবী এ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন মেজবাহ এ জামিন আবেদন করেন।
গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীর একটি বাসা থেকে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আটকের পর দুই মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এর মধ্যে ২৬ ডিসেম্বর শাহবাগ থানার মামলায় তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ৩০ ডিসেম্বর তুরাগ থানার অপর একটি মামলায় দুই দিনের রিমান্ড দেন আদালত। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।