দৈনিকবার্তা-বরগুনা,২৬মে : বরগুনা পৌরসভার পৌর সুপার মার্কেটে সোমবার রাত ১০ টায় ভয়াবহ অগি্নকান্ডে পুড়ে গেছে দেড় শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান৷ জেলা প্রশাসনের পৰ থেকে প্রাথমিক ভাবে ২০ কোটি টাকার ৰয়ৰতি নিরম্নপণ করা হয়েছে৷ তাত্ৰনিক সহযোগীতার জন্য ত্রান ও দুযোর্গ মন্ত্রনালয়ের নিকট ২০ লৰ টাকা অনুদান চাওয়া হয়েছে৷ এ ঘটনায় জেলা প্রশাসনের পৰ থেকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) মো.আবদুল্লাহকে প্রধান পাঁচ সদস্যও তদনত্ম কমিটি করা হয়েছে৷মার্কেটের একটি দোকানের বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হয়৷ আগুন লাগার সাথে সাথে ফায়ার সার্ভিসকে ফোন দেওয়া হলেও ঘটনা স্থলে পৌছে কাজ শুরম্ন করতে সময় নেয় ৩০ মিনিট৷ তাই ফায়ার সার্ভিসের গাফেলতির কারণেই এতো বেশি ৰয়ৰতি হয়েছে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা৷
এছাড়াও আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়লে পাশর্্ববর্তী পাথরঘাটা উপজেলা ও আমতলী উপজেলা থেকে ফায়ার সার্ভিস এর ইউনিট আসতে বললে যথাসময়ে আমতলী আসলেও পাথরঘাটা ইউনিটকে বার বার জেলা প্রশাসন ও পুলিশ সুপারের পৰ থেকে বলা হলেও তারা আসেনি৷ অন্যদিকে শেষ অবলম্বনটুকু হারিয়ে নিঃশ্ব হয়ে গেছেন ব্যবসায়ীরা৷ জীবন নিয়ে আছে অনিশ্চয়তার মধ্যে৷ অনেকেই শেষ সম্বল হারিয়ে হতভম্ব হয়ে গেছেণ৷ এরকমই একজন ইলেকট্রিক পন্যের ব্যবসা করেন মেসার্স হাওলাদার ট্রেডিং এর মালিক আসাদুজ্জামান মিল্টন বলেন, জীবনের যা রোজগার ছিলো সবই শেষ হয়ে গেছে৷ তার নিজেরই প্রায় অর্ধকোটি টাকার ৰতি হয়েছে বলে তিনি জানান৷
পুড়ে যাওয়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বরগুনার ঐতিহ্যবাহী হোটেল বে-অব বেঙ্গল টি সম্পূর্ন ভষ্মীভূত হয়ে গেছে৷ হোটেল মালিক ফারম্নক মৃধা বলেন, জীবনের সঞ্চিত সকল অর্থ দিয়ে এই হোটেল করেছি৷ হোটেলের আবাসিক অনাবাসিক সকল কিছু শেষ হয়ে গেছে এতে প্রায় তিন কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি দাবী করেন৷ অগি্নকান্ডে বরগুনা পৌর সুপার মার্কেটের তৃতীয় তলায় অবস্থিত বরগুনা ক্যাবল নেটওয়ার্কের বেশ কিছু সরঞ্জাম নষ্ট হয়ে গেছে যার মূল্য প্রায় তিন লৰ টাকা বলে সংগঠনের সাধারন সম্পাদক শংকর রায় দাবী করেন৷ এনজিও ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে চারটি এ্যব্রোডারি মেশিন কিনে ব্যবসা শুরম্ন করে শহীদ৷ সবকিছু হারিয়ে তিনি এখন পাগলপ্রায়৷ এছাড়া পুড়ে যাওয়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে মোবাইল ফোন, গার্মেন্টেস, ইলেক্ট্রনিঙ্ ও ষ্টেশনারী দোকান৷এঘটনায় মো. আবুল কাশেম নামের এক ফায়ারম্যান সহ ১৫ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে৷ আহতদের প্রাথমিক চিকিত্সা দেওয়া হয়েছে৷ফায়ার সার্ভিসের বরগুনা স্টেশনের উপ-সহকারী পরিচালক মনোরঞ্জন সরকার জানান, যান্ত্রিক সমস্যার কারনে কাজ শুরু করতে একটু দেরি হয়৷ কিন্তু আমরা আপ্রান চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হই৷
পৌর মেয়র মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, এ ঘটনায় তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন আগুনে ৰতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের পৌরসভার পক্ষ থেকে যথাসম্ভব সহায়তা করা হবে৷এবিষয়ে জেলা প্রশাসক মীর জহুরম্নল ইসলাম বলেন, অগি্নকান্ডের ঘটনায় প্রাথমিক ভাবে ২০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে৷ তাত্ক্ষনিকভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য দুযের্াগ ত্রাণ মন্ত্রনালয়ে ২০ লক্ষ টাকা চেয়ে টিঠি দেওয়া হয়েছে৷ উল্লেখ্য, সোমবার(২৫ মে) রাত সোয়া ১০ টায় আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টার প্রচেষ্টায় মঙ্গলবার(২৬মে) রাত দেড়টার দিকে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রনে আনে৷