দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৫ মে: রিকন্ডিশন্ড হাইব্রিড গাড়ি আমদানির সুযোগ পাচ্ছেন আমদানিকারকরা।আগামী বাজেটে এ সুযোগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। মন্ত্রী বলেন, আমদানিকারকরা যাতে রিকন্ডিশন্ড হাইব্রিড গাড়ি হিসেবে আমদানি করতে সে ব্যাপারে নীতিমালা করবে সরকার। সোমাবার সচিবালয়ে পুরনো গাড়ির আমদানিকারক ও পরিবেশকদের সমিতি বারভিডার (বাংরাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিকল ইমোপর্টাসর্স অ্যান্ড ডিলারর্স অ্যাসোসিয়েশন ) সঙ্গে প্রাক বাজেট আলোচনার পর মুহিত সাংবাদিকদের এ কথা জানান।উদাহরণস্বরূপ ভিভিটিআই ইঞ্জিনযুক্ত ১৫০০ সিসির একটি টয়োটা অ্যাক্সিয়ো গাড়ির দাম ১০ লাখ টাকা। এ ধরনের একটি গাড়ির শুল্ক আসে প্রায় সাড়ে ১৩ লাখ টাকা। অন্যদিকে একই সক্ষমতার একটি হাইব্রিড গাড়ির দাম ১২ লাখ টাকা। এ ধরনের একটি গাড়ির শুল্ক আসে ১৬ লাখ টাকা।
এখন সরকার হাইব্রিড গাড়িকে রিকন্ডিশন্ড হিসেবে আমদানির সুযোগ দিয়ে বাংলাদেশের বাজারে ব্যক্তিগত গাড়ি কেনার প্রবণতা ব্যাপকভাবে বেড়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।আলোচনায় বারভিডারন সভাপতি মো. আব্দুল হামিদ শরীফ সংগঠনের পক্ষ থেকে বেশ কিছু প্রস্তাব তুলে ধরেন। তাদের প্রস্তাবে রিকন্ডিশন্ড হাইব্রিড গাড়ি আমাদনির সুযোগসহ মাইক্রোবাস, বিভিন্ন প্রকার জিপের ওপর সম্পুরক শুল্ক কমানো, রিকন্ডিশন্ড গাড়ির বয়সসীমা শিথিলের দাবি করা হয়।
বারভিটার প্রতিনিধি দলের সাক্ষাতের পর ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির(ডিসিসিআই) একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে প্রাক বাজেট আলোচনায় অংশ নেন মুহিত।বাজেটে জ্বালানি তেলের দাম সম্বন্বয় করা হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমলেও দেশে দাম কমানো হয়নি। কারণ জ্বালানি তেল আমাদনিতে আগে প্রচুর লোকসান দেওয়া হয়েছে। এবারের বাজেটে হয়তো সুখবর থাকতে পারে।
ডিসিসিআই সভাপতি হোসেন খালেদের ব্যবসায়ী নেতাদের নেতৃত্ব দেন। তাদের পক্ষ থেকে কয়েকটি প্রস্তাব দেওয়া হয়। এগুলো কালোটাকার উৎসব বন্ধ, করদাতাদের ট্যাক্স কার্ড প্রদান, রাজনৈতিক অস্থিরতার সময় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের জন্য কর প্রদানে বিশেষ ছাড়, আয়কর আইন ১৯৮৪ ও বিধি সংক্রান্ত প্রস্তাব, ছাড়াও শ্রমিকদের মানোন্নয়নের পরামর্শ দেওয়া হয়।এসময় মন্ত্রী বলেন, দেশের নৌবন্দরগুলো সংস্কার করা হবে। নারীদের জন্য বিশেষ বাস চালু করা হবে।