দৈনিকবার্তা-রাজশাহী , ২৫ মে: রাজশাহীর বাগমারায় ভূমিকর্মকর্তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাড়িয়ে দিয়ে সরকার সমর্থক কয়েকজন কর্মী মোহনগঞ্জ হাটের ইজারা আদায় করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে৷ সরকারিভাবে ইজারা আদায়ের নিয়ম থাকলেও আ’লীগকর্মীদের ভয়ে ইউনিয়ন উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা তা করতে পারেননি৷ ফলে ইজারা আদায় না করেই আজ হাট ছেড়ে চলে আসতে বাধ্য হন তিনি৷
স্থানীয়রা জানায়, আজ সকালে তাহিরপুর একডালা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা সেকেন্দার আলী তাঁর লোকজন নিয়ে উপজেলার মোহনগঞ্জ হাটের ইজারা আদায় করতে যান৷ কিন্তু সকাল সাড়ে সাতটার দিকে স্থানীয় বাসীন্দা ও আওয়ামী লীগকর্মী বাবু রহমান, রাজু আহমেদ, টেংকু মোলস্নাহসহ কয়েকজন যুবক ভূমি কর্মকর্তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে হাট থেকে চলে আসতে বলেন৷ এরপর ভূমি কর্মকর্তা প্রাণভয়ে ইজারা আদায় না করেই হাট থেকে চলে আসেন৷স্থানীয়রা আরও জানায়, ভূমি কর্মকর্তা চলে যাওয়ার পরে সরকার সর্মথক ওই কর্মীরা হাটের ইজারা আদায় করতে থাকেন৷
উনিয়ন উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা সেকেন্দার আলী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘ইজার আদায় না করার জন্য আমাকে ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে৷ সেই বয়ে আমি চলে এসেছি৷ পরে তারা ইজারা আদায় করেছে বলে শুনেছি৷ হাট থেকে চলে আসার পরে বিষয়টি তিনি উপজেলা সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) জানিয়েছেন বলেও জানান৷এ প্রসঙ্গে যোগাযোগ করা হলে আওয়ামী লীগকর্মী টেংকু মোলস্নাহ জানান, তাঁরা হাটটি ইজারা পেতে তাদের পে ৩৬ লাখ টাকার দরপত্র জমা দিয়েছিলেন৷ সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে হাটটি ইজারা পেলেও একসঙ্গে সব টাকা পরিশোধ করতে না পারায় দ্বিতীয় দরদাতাকে হাটটি দেওয়া হয়েছে৷’টেংকু মোলস্নাহ বলেন, এই অবস্থায় দ্বিতীয় দরদাতাও টাকা জমা দেয়নি৷ কিনত্মু ভূমি অফিস থেকে হাটটির ইজারা আদায় করা হচ্ছে৷ ফলে আমাদের তি হচ্ছে৷ তাই আমরা হাট ইজারা আদায় করেছি৷
উপজেলা সূত্র মতে, বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তরিকুল ইসলাম গত ১৭ মে চিটি দিয়ে হাটটির সর্বোচ্চ দরদাতা নুরুজ্জামান নির্ধারিত সময়ের মধ্যে (১৪মে পর্যনত্ম) টাকা পরিশোধ করতে না পারায়, তাঁর জামানত বাজেয়াপ্ত করে দ্বিতীয় সবোচ্র্চ দরদাতা রহিদুল ইসলামকে মোহনগঞ্জ হাটটি ইজারা দেওয়া হয়৷ তাঁকে চিঠি পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে টাকা জমা দিতে বলা হয়েছে৷ রহিদুল ইসলাম জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তর থেকে এ সংক্রানত্ম একটি চিঠি পাওয়া গেছে৷ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে টাকা জমা দেওয়া হবে৷এ বিষয়ে উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসিফ মাহমুদ জানান, হাটের ইজারা আদায় হয়নি বলে শুনেছি৷ কারা ইজারা আাদয় করেছে, সেটিও খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে৷