দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৫ মে: প্রতি বছর একশ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেবে চীন। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চীন গবেষণা কেন্দ্রকে শিক্ষা সরঞ্জাম কেনা বাবদ ১০ ইউয়েন (আরএমবি) দেয়ারও ঘোষণা দেয়া হয়েছে।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে সোমবার সকাল ১০টায় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন ঢাকা সফররত চীনা উপ প্রধানমন্ত্রী লিউ ইয়েনতোং। এসময় তিনি এসব ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, এখন থেকে প্রতিবছর ১০০ বাংলাদেশী শিক্ষার্থীকে শিক্ষাবৃত্তি দেবে চীন। এছাড়া চীন সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চীন গবেষণা কেন্দ্রকে ১০ লাখ আর এমবি মূল্যে শিক্ষার সংক্রান্ত সরঞ্জাম প্রদান করা হবে। আর কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট সদর দপ্তরের পক্ষ থেকে ১০০ জন বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রীকে চীনা ভাষার সেতু নামক গ্রীষ্মকালীন ক্যাম্পে অংশগ্রহণ করার আমন্ত্রণ জানানো হবে।তিনি আরো বলেন, ‘দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৪০তম বছর উদযাপনের জন্য বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান সফলভাবে আয়োজনের মধ্য দিয়ে দু’দেশের সার্বিক অংশীদারিত্ব সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ঠতর হবে। বাংলাদেশ ভারত চীন মিয়ানমার অর্থনৈতিক করিডোর নির্মাণের জন্য খুব ভালো প্রস্তাবও দিয়েছে বাংলাদেশ বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথ আলোচনা করা হবে। এক সঙ্গে নির্মাণ ও একসঙ্গে উপভোগের নীতি অনুসরণ করে সহযোগিতা ও পারস্পরিক নতুন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক স্থাপনের মধ্য দিয়ে মানবজাতির জন্য অভিন্ন স্বার্থগোষ্ঠী তৈরি করতে ইচ্ছুক চীন।
চীনা উপপ্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, ‘বাস্তবতা থেকে প্রমাণিত হয়েছে যে, আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি যাই হোক না কেন চীন ও বাংলাদেশ জন্য মৈত্রী, আস্থা ও সহযোগিতা হলো আসল বিষয়। দুপক্ষের ঐতিহাসিক মৈত্রী সুসংহত করে রেশম পথের চেতনা অনুযায়ী শান্তিপূর্ণ সহযোগিতা উন্মুক্ত ও সহনশীল মানসিকতা পরস্পরের কাছ থেকে শেখা ও পরোপকারিতার মাধ্যমে সংস্কার ও উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাওয়া উচিৎ। এক অঞ্চল ও এক পথ ও অর্থনৈতিক করিডোর বিসিআইএম কাজে লাগিয়ে দুদেশের আদান প্রদান মাধ্যমে পরস্পরকে সমর্থনের অভিন্ন স্বার্থ সূত্র প্রদানের মাধ্যমে উন্নয়নের পথ আবিষ্কার করতে হবে। অভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট এলাকা আরো সম্প্রসারণ করা উচিৎ।
স্বাভাবিক বছরগুলোতে বাংলাদেশে প্রবৃদ্ধির হার ৬ শতাংশ ধরে রাখতে পারায় প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘২০২১ সাল নাগাদ মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হওয়ার পথে বাংলাদেশের মানুষ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। চীন ও বাংলাদেশের অর্থনীতি একে অপরের পরিপূরক। তাই সহযোগিতা সম্প্রসারণের অনেক সম্ভবনা রয়েছে।এর আগে সকালে চীনা উপপ্রধানমন্ত্রী লিউ ইয়েনতোং জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এসময় তারা দুদেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন। পরে চীনা উপ প্রধানমন্ত্রীর হাতে শুভেচ্ছা স্বারক তুলে দেন স্পিকার। আর তার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা স্মারক গ্রহণ করেন তিনি।
এর আগে জাতীয় জাদুঘর পরিদর্শন করেন সফররত চীনা উপপ্রধানমন্ত্রী। এসময় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর তাকে স্বাগত জানান। পরে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির প্রবীণ নেতা লিউ চাইনিজ মুসলিম অন দ্য সিল্ক রোড শীর্ষ চিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন।