19F1909E-DB0A-4766-8694-1DFEB308BB87_mw1024_s_n
দৈনিকবার্তা-হ্যানয়, ২৩ মে: জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন শনিবার বলেছেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সমুদ্রে ভাসমান অভিবাসীদের জীবন রক্ষা এখন ‘সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার’ হওয়া উচিত। অঞ্চলটিতে নির্যাতন-নিপীড়ন ও দারিদ্র্যতার হাত থেকে রক্ষা পেতে মানুষ ব্যাপকভাবে নৌকায় চড়ে সমুদ্রপথে দেশান্তরী হচ্ছে। খবর এএফপি’র।
জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, চলতি মাসের শেষ দিকে থাইল্যাণ্ডে আসন্ন সম্মেলনে আঞ্চলিক দেশগুলো ব্যাপক হারে মানুষের দেশান্তরী হওয়ার ‘মূল কারণ’ খুঁজে বের করে তা দূর করবে বলে তিনি আশা করছেন। হ্যানয় সফরকালে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘কিন্তু যখন মানুষ সমুদ্রে ভেসে যাচ্ছে, তখন কিভাবে আমরা তাদের খুঁজে বের করে উদ্ধার করব ও জীবন রক্ষাকারী মানবিক সহায়তা দেব, তা এই মুহূর্তের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।’ বান বলেন, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও মায়ানমারে আঞ্চলিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সম্প্রতি তার আলোচনা হয় এবং তিনি ‘মানুষের দেশত্যাগের মূল কারণ নির্ণয় করে তা দূর করতে’ তাদের প্রতি আহ্বান জানান।
১৩ লাখ সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমের সঙ্গে যে আচরণ করা হচ্ছে তা বন্ধে মায়ানমার যখন ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক চাপের সম্মুখীন হচ্ছে, ঠিক সেই সময়ে বানের এই মন্তব্যটি এলো। মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলে দারিদ্র্যপীড়িত গোষ্ঠির ওপর ব্যাপক নির্যাতন-নিপীড়ন অঞ্চলটিতে চলমান এই সংকটের অন্যতম প্রধান কারণ। নির্যাতনের কারণে রোহিঙ্গারা ব্যাপক হারে নৌকায় সমুদ্র পথে দেশত্যাগে বাধ্য হচ্ছে। পাশাপাশি প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশ থেকে ক্রমবর্ধমান সংখ্যায় মানুষ দারিদ্র্যতার হাত থেকে মুক্তি পেতে বিপদ সংকুল এই সমুদ্রপথে দেশত্যাগ করছে।
এইসব অভিবাসীদের অধিকাংশই মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার উদ্দেশে মানবপাচারকারীদের মাধ্যমে বিপজ্জনক সমুদ্রপথে রওয়ানা দেয়। মানব পাচার একটি লাভজনক ব্যবসা এবং অঞ্চলটিতে পাচারকারীদের একটি শক্তিশালী নেটওর্য়াক রয়েছে। বান কি মুন অভিবাসীদের গ্রহণকারী দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘তাদেরকে ফের বিপজ্জনক পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিবেন না।’ থাইল্যান্ড ২৯ মে ব্যাংককে এই সংকটের ওপর একটি সম্মেলনের আয়োজন করেছে।