দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২০ মে: টাকার অংকটা ঠিক ৪১ কোটি ৪১ লাখ। ৪১ লাখের এই ভগ্নাংশটাই ব্যবধান গড়ে দিয়েছে গ্রামীন ফোন আর ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি টপ অব মাইন্ডের সাথে। মোবাইল অপারেটর কোম্পানি গ্রামীন ফোনকে হারিয়ে ২ বছরের জন্য বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল, ‘এ’ দল, অনূর্ধ্ব-১৯ দল এবং জাতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের স্পন্সর স্বত্ত্ব পেয়েছে টপ অব মাইন্ড (টম)।
টিম স্পন্সর নিলামে অংশগ্রহণকারী ৬টি কোম্পানির মধ্য থেকে সর্বোচ্চ দরদাতা দুটি কোম্পানিকেই আহ্বান করে বিসিবি। এই দুটি কোম্পানি গ্রামীন ফোন আর টপ অব মাইন্ড। টিম স্পন্সরের জন্য বিসিবির প্রাথমিক ভিত্তিমূল্য ছিল ৩০ কোটি টাকা। এর ওপরই তিন দফায় লড়াইয় চলে গ্রামীন আর টমের মধ্যে। সবশেষে টমই জিতে নেয় বিসিবির টিম স্পন্সর নিলামটি।শুধু জাতীয় দলই নয়, টপ অব মাইন্ডের সঙ্গে এই চুক্তির আওতায় থাকছে ‘এ’ দল, অনুূর্ধ্ব-১৯ এবং জাতীয় মহিলা ক্রিকেট দলও। তবে আইসিসির কোন ইভেন্ট এই চুক্তির আওতায় পড়বে না। বিসিবি চাইলে তখন অন্য টিম স্পন্সর নিতে পারবে।
বিসিবির বেজ প্রাইস ৩০ কোটি টাকার ওপর প্রথমে নিলাম ডাকে গ্রামীন ফোন ৩০ কোটি ৫০ লাখ টাকা। টপ অব মাইন্ড দর হাঁকায় ৩০ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। দ্বিতীয় নিলামে টপ অব মাইন্ড দর হাঁকায় ৩৫ কোটি ৩৩ লাখ। জিপি দর হাঁকায় ৩৭ কোটি ১০ লাখ টাকা। তৃতীয় নিলামে গ্রামীন ফোন দর হাঁকায় ৪১ কোটি টাকা। টপ অব মাইন্ড দর হাঁকায় ৪১ কোটি ৪১ লাখ টাকা।এর আগে বিসিবির নিলাম বিজ্ঞপ্তির সূত্র ধরে মোট ৬টি কোম্পানি দর জমা দিয়েছিল ক্রিকেট বোর্ডে। এর মধ্যে ৫টির নাম জানা গেছে। জিপি, টম ছাড়াও বাকিরা হচ্ছেন একেসি, ইমপ্রেস টেলিফিল্ম এবং প্রোপার্টিজ লিমিটেড।
নিলামে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে টম নির্বাচিত হওয়ার পর তাদেরকে অভিনন্দন জানান বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন। তিনি বলেন, ‘আমরা আশার চেয়েও বেশি সাড়া পেয়েছি এবং আরও ভালো লাগছে যে, একটি দেশীয় কোম্পানি আমাদের টিম স্পন্সর স্বত্ত্ব কিনে নিতে পেরেছে। মূলতঃ সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ দল অসাধারণ পারফরম্যান্স করায় টিম স্পন্সর বিক্রিতে এতটা সাড়া পেয়েছি বলে আমি মনে করি।’এর আগে, সর্বশেষ পাকিস্তানের বিপক্ষেও সিরিজে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের টিম স্পন্সর স্বত্ত্ব কিনেছিল টপ অব মাইন্ড। তবে তখন কতটাকায় এই স্বত্ত্ব কিনেছিলো তারা, সেটা জানায়নি বিসিবি।