দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২০ মে: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার ৩৪ তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ আলোচনা সভার আয়োজন করেছে।বুধবার বিকেল ৩টায় মহানগর নাট্য মঞ্চে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থি ছিলেন বাংলাদেশ আ ওয়ামী লীগ এর উপদেষ্টা মন্ডলির সদস্য, বানিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহাম্মেদ এমপি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী, বক্তব্য রাখেন, যুবলীগ সাধারন সম্পাদক মোঃ হারুনুর রশিদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী, মোঃ ফারুক হোসেন, মাহবুবর রহমান হিরন, আতাউর রহমান আতা, এ্যাডভোকেট বেলাল হোসাইন, ডা: মোকলেছ উজ জামান হিরো, মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম, শেখ আতিয়ার রহমান দিপু, যুগ্ম সম্পাদক মহিউদ্দিন আহম্মেদ মহি, মঞ্জুরআলম শাহিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ বদিউল আলম, আসাদুল হক আসাদ, দপ্তর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমান, সম্পাদক শুভাষ চন্দ্র হাওলাদার, মিজানুল ইসলাম মিজু, উপ সম্পাদক শেখ বোরহান উদ্দিন বাবু, শ্যামল কুমার রায়, জসিম মাতুব্বর, যুবলীগ ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি মাইনুল হোসেন খান নিখিল, সাধারন সম্পাদক মোঃ ইসমাইল হোসেন, যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এনামুল হক আরমান, ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা সহ যুবলীগের কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতৃবৃন্দ। সভাপতির বক্তব্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান মোঃ ওমর ফারুক চৌধুরী বলেছেন, বিএনপি-জামায়াতের শত অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের সব বাধা-বিঘœকে পাশ কাটিয়ে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে নিয়ে যাচ্ছেন ভিশন-২০৪১ এর লক্ষ অর্জনে। তার সেই প্রত্যাবর্তন ইতিহাসে একটি বড় বাঁক, একটি বড় অধ্যায়। তাই সেই প্রত্যবার্তনে ৩৪ বছর উদযাপন উপলক্ষে আজ আমরা দেখছি তারেই হাত ধরে এই দেশে আসা বড় সাফল্যগুলো।
সর্বশেষ ঐতিহাসিক সীমান্ত চুক্তির ফলে বদলে গেছে বাংলাদেশ, পাল্টে যাচ্ছে বাংলাদেশের মানচিত্র, যোগ হবে আরো ১০ হাজার ২৫০ একর ভূখন্ড। এরই নাম শেখ হাসিনা। ১৯৮১ সালের ১৭ শে থেকে সেই যে তিনি রাজপথে নামলেন, তার পর থেকে মানুষের অধিকার আদায়ের প্রতিটি সংগ্রামে তিনিই নেতা, তিনিই নায়ক। গ্রেনেড, বোমা, বুলেট ও প্রাণনাশের হুমকিকে তুচ্ছ করে তিনিই আজও হাল ধরে আছেন এই সোনার বাংলার। ঐতিহাসিক মুজিব ইন্দিরা চুক্তি ভারতের লোক সভায় পাশ হওয়ায়, এ সময় যুবলীগ চেয়ারম্যান আরও বলেন, সীমান্তচুক্তি বাস্তবায়নের ফলে দীর্ঘ প্রায় ৭০ বছরের সীমান্ত সমস্যার সমাধান হলো। ১৯৪৫ সালে নুহুন-নেহেরু এই সীমান্ত চুক্তি করেছিলেন।প্রধান অতিথি বক্তব্যে বানিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহাম্মেদ বলেন, যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মনি ভাইয়ের হাত ধরে যুব রাজনিতি শুরুকরেছিলাম। আমি শ্রদ্ধা বরে তার কথা স্মরন করছি। মন্ত্রী বলেন, যুবলীগ চেয়ারম্যান মোঃ ওমর ফারুক চৌধুরী ও সাধারন সম্পাদক মোঃ হারুনুর রশিদ যুবলীগকে একটি গঠন মূলক সংগঠন হিসাবে দার করিয়েছেন, আমি যুবলীগের সমস্ত গঠন মূলক কর্মকান্ড ও প্রকাশনার জন্য যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরীকে ধন্যবাদ জানাই।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে ১৫আগষ্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যারপর মরহুম মালেক উকিল সভাপতি ও আব্দুর রাজ্জাক সাধারন সম্পাদক হলেন। ১৯৮১ সালে ফেব্রুয়ারী মাসে যখন কাউন্সিল হলো তখন সর্বসম্মত ভাবে ঐক্যের প্রতিক হিসাবে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হলো। ১৭ মে তিনি এলেন কাঁদলেন জনগনের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করলেন।তোফায়েল আহাম্মেদ বলেন, বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যান্নয়ন, ভোট ও ভাতের অধিকার সুপ্রতিষ্ঠীত ও জনগনের মৌলিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ আজ খাদ্যে সয়ংসম্পন্ন, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, চিকিৎসা, বাসস্থান সর্বক্ষেত্রে তিনি সফলতার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। রপ্তানি ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ অতিথের সব রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছেন। ১৯৮১ সালে ১৭ মে তিনি স্বদেশের মাটিতে ফিরে এসে জনগনের জন্য রাজনিতি শুরু করেছিলেন বলেই এত উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। এই ধারাবাহিকতা থাকলে ২০৪১সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিনত হবে।