দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২০ মে: গণতন্ত্রের সাংঘাতিক সংকটের কারণেই দেশ এখন অন্যায় অত্যাচারে জর্জরিত হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে.জে. অব.মাহবুবুর রহমান।দেশে অন্যায় অত্যাচারের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার কারণ উল্লেখ করে মাহবুব বলেন, আমাদের দেশের সর্বত্র যে অমানবিক অন্যায় অত্যাচার হচ্ছে এবং স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে যাওয়ার কথা ছিল সেভাবে না এগুনোর কারণ দেশে গণতন্ত্রের সাংঘাতিক সংকট। বুধবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও বিএনপি নেতাদের মুক্তির দাবিতে আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাৎ।সিটি নির্বাচনে ২০ দলীয় জোটকে সরকার ভোট বর্জন করতে বাধ্য করেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, নির্বাচনের দিন সরকারের ক্যাডার বাহিনী যে তান্ডব লিলা চালিয়েছিল তা গোটা বিশ্বের মানুষ জানে। আর এই তা-ব লিলার কারনেই ২০ দলীয় জোট ভোট বর্জন করতে বাধ্য হয়েছিল।
৬ জুন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরকে স্বাগত জানিয়ে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, তার সরকার বাংলাদেশের সাথে সু-সম্পর্কের গুরুত্ব অনুধাবন করেছেন মানবিক দৃষ্টিকোন থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরকে স্বাগত জানিয়ে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান বলেছেন, সত্যিকারের গণতান্ত্রিক বার্তা নিয়ে আসছেন তিনি।
ভারতের কাছ থেকে সরকারকে গণতন্ত্রের শিক্ষা নেওয়ার আহ্বান জানান মাহবুবুর রহমান। তিনি বলেন, গণতন্ত্রের মান কিভাবে রক্ষা করতে হয়, ভারতের কাছ থেকেই সরকারকে সে শিক্ষা নিতে হবে।মাহবুবুর রহমান বলেন, গণতন্ত্রের পতাকা উড়িয়ে বাংলাদেশে আসছেন মোদি। আশা করি আমাদের দেশে এসেও তিনি গণতান্ত্রিক কথা বলবেন। আগামী নির্বাচন কিভাবে অবাধ, সুষ্ঠু হবে সে বিষয়গুলোও মোদির সফরে আলোচনা হবে।বিএনপির এ নেতা বলেন, আমরাও সত্যিকারের গণতান্ত্রিক পরিবেশ চাই। আমাদের কথা বলার অধিকার, সভা-সমাবেশ করার অধিকার চাই। এজন্য নেতাকর্মীদের মুক্তি দিতে হবে।তিনি বলেন, ভারতের রাজ্যসভায় স্থল সীমান্ত চুক্তি পাস হওয়ার সময় সব রাজনৈতিক দল সমর্থন দিয়েছে।কোনো দলই বিরোধিতা করেনি। এটি একটি নজির। আমাদের এ শিক্ষা নেওয়া উচিত।মানবপাচারের বিষয়ে তিনি বলেন, হাজার হাজার মানুষ আজ সাগরে ভাসছেন, নৌকা থেকে অনেককে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। অথচ আমাদের সরকার নির্বাক। বিশ্ববিবেক আজ ভোতা হয়ে গেছে।
সরকারের দয়িত্ব ছিল এদের রক্ষা করা। কিন্তু সরকার তা করছে না। এতে আমি হতবাক হয়ে যাই, বলেন মাহবুব।শিরিন সুলতানা বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বজর্ন করায় অনেকেই বলেছিলেন বিএনপি নেত্রী ভুল করেছেন। সেসব প্রমাণ দিতে সিটি নির্বাচনে অংশ নেয় বিএনপি। কিন্তু সিটি নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল।তরুণ প্রজন্মকে জিয়ার আদর্শ ধারণ করে শেখ হাসিনার পতন ত্বরান্বিত করার আহ্বান জানান মহিলা দলের এ নেত্রী।
আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল সৈয়দ ইব্রাহিম (বীর বিক্রম), সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান, সাবেক সংসদ সদস্য শাহ মুহাম্মদ আবু জাফর, গণস্বাস্থ্যর প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।