DoinikBarta_দৈনিকবার্তা ড.-শিরীন-শারমিন-চৌধুরীর

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২০ মে: বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ও সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, সমাজে সম-অধিকার নিশ্চিত করতে নারী অধিকার অপরিহার্য।২৬ তম কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি সেমিনারের তৃতীয় দিনে বুধবার ‘সংসদ, লিঙ্গ ও মানবাধিকার’ শীর্ষক নবম সেশনে রিসোর্স পারসন হিসেবে বক্তৃতাকালে তিনি এ কথা বলেন।এই নবম সেশনে স্কটল্যান্ডের মার্গারেট ম্যাককুলচ সভাপতিত্ব করেন। সিঙ্গাপুরের সংসদ সদস্য লিংম ব্লো চুয়ানও এ সেশনে রিসোর্স পার্সন হিসেবে অংশগ্রহণ করেন।‘সংসদীয় গণতন্ত্রকে শক্তিশালীকরণ’ শীর্ষক মূল প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ৪ দিনব্যাপী এ সেমিনার শুরু হয়েছে গত ১৮ মে থেকে। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ওইদিন সেমিনারের উদ্বোধন করেছিলেন।এ নবম সেশনে স্পিকার আরো বলেন, দারিদ্র্য বিমোচনসহ সমাজের সকল ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য নারী উন্নয়ন অপরিহার্য। আগামী দিনে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে নারীর ক্ষমতায়ণ প্রয়োজন।স্পিকার শিরীন শারমিন বলেন, সংসদ অন্তর্ভুক্তিমূলক-এক্ষেত্রে জেন্ডার একটি কেন্দ্রীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পৃথিবীর অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারী। নারীকে বাদ রেখে কোন সমাজের, কোন দেশের উন্নয়নকে নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, কৃষিতে নারীরা বিশাল অবদান রাখছে। কিন্তু তাদের অবদান কোন অর্থনৈতিক হিসেবে ধরা হচ্ছে না। নারী শ্রমকে সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতিমালার সকল হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। নারী শ্রমের মর্যাদা ও নারীর শ্রমের মূল্যকে অর্থনৈতিক অর্জন হিসাবে ধরতে হবে। নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নকে এগিয়ে নিতে সংসদ ও সংসদ সদস্যদেরকে একযোগে কাজ করতে হবে।সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন আরো বলেন, নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে সমগ্র বিশ্বে যে সকল সাংগাঠনিক বাধা রয়েছে সেগুলোও দূর করতে হবে। নারীর রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধি করতে সকল সংসদ সদস্যদেরও একযোগে কাজ করতে হবে।এর আগে ‘সংসদীয় এবং এইচআইভি/এইডস’ শীর্ষক ৮ম সেশনে দক্ষিণ আফ্রিকার সংসদ সদস্য লিন্ডডিও মাসেকো সভাপতিত্ব করেন। বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ সদস্য ডা. মো. এনামুর রহমান এমপি এবং কেনিয়ার সিনেটর মোজেস ওয়েটাংগুলা এ সেশনে রিসোর্স পার্সন হিসেবে অংশগ্রহণ করেন।সেশনে এইচআইভি/এইডস’কে একটি স্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। এ সমস্যা সমাধানে ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা, শিক্ষা ও সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করার ক্ষেত্রে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে সংসদ সদস্যদেরকে যথাযথ ভূমিকা পালনের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়।উল্লেখ্য, ৪ দিনব্যাপী এ সেমিনারে বাংলাদেশসহ ১৮টি দেশের ২৬টি শাখার মোট ৩৫ জন পার্লামেনটারিয়ান ও প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করছেন।