441961Annisul-Huq

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২০ মে: ঢাকা উত্তরের মেয়র আনিসুল হক বলেছেন, উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ছোটখাটো ভুলত্র“টি থাকলেও তার নির্বাচনী ব্যায় সীমাবদ্ধ ছিল। বুধবার রাজধানী ধানমন্ডির ছায়ানটে এ্যাকশন এইড এর উদ্যোগে ‘নিরাপদ নগরী, নির্ভয়ে নারী’ শীর্ষক প্রচারণার উদ্বোধন শেষে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) সম্প্রতি প্রকাশিত প্রতিবেদন সর্ম্পকে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, ‘টিআইবি কিসের ভিত্তিতে প্রতিবেদন তৈরি করেছে সেটি আমার জানা নেই। তবে, আমার নির্বাচনী ব্যয় সীমাবদ্ধ ছিল।তিনি বলেন, আমরা কাজ করে যাচ্ছি। গত কয়েকদিনে তেমন কোন পরিবর্তন হয়নি, কিন্তু আগামী ২ এক বছরের মধ্যে ব্যাপক পরিবর্তন দেখতে পাবেন। এসময় তিনি গণমাধ্যমকে সঙ্গে থাকার আহবান জানান।ঢাকা শহরে মাঠগুলো শিগগিরই দখলমুক্ত করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কয়েকদিনের মধ্যেই দেখতে পারবেন মাঠ কারো দখলে থাকবে না। সব মাঠ দখলমুক্ত করা হবে।

এর আগে নারীর জন্য নিরাপদ শহর ও নগর তৈরিতে একশনএইড কাজ করে এমন ২০টি দেশে একযোগে উদ্বোধন করা হয় নিরাপদ নগরী নির্ভয় নারী। প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী এ দিনে দিবসটি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এ সংগঠন।বাংলাদেশসহ অন্য দেশগুলোতে প্রথমবারের মতো দিবসটি পালিত হচ্ছে।এ্যাকশন এইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টার ফারাহ্ কবিরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন, মেয়রসহ মহিলাবিষয়ক অধিদফতরের মহাপরিচালক শাহীন আহম্মদ চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন এন্ড জেন্ডার স্ট্যাডিজ বিভাগের অধ্যাপক তানিয়া হক।নগর পিতা হতে আসিনি, নগরের বন্ধু হতে এসেছি উল্লেখ করে মেয়র বলেন, সামাজিক ও রাজনৈতিক চাপ বাড়িয়ে জোর গণআন্দোলন গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

এসময় আনিসুল হক বলেন, সাম্প্রতিককালে নারী নির্যাতন বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ধরনের সমস্যা মোকাবিলায় সমাজের সকল স্তরের মানুষকে জনমত গঠন করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।তিনি বলেন এছাড়াও নারীর প্রতি সহনশীল দৃষ্টিভঙ্গী পরিবর্তনের প্রয়োজন। এসময় মেয়র সর্বস্তরে জনমত গঠনে যোগাযোগ সেল করারও পরামর্শ দেন।সংগঠনের এক গবেষণায় দেখা যায়,শহরের ৯৭ শতাংশ নারী যৌন হয়রানিকে সহিংসতা মনে করেন, এ ধরনের হয়রানির শিকার ৮১ শতাংশ নারী পুলিশের সহায়তা নিতেও ভয় পান। নগরের শতকরা ৪৭ দশমিক ৫ ভাগ নারী গণপরিবহণ,রাস্তা কিংবা উন্মুক্ত জনবহুল এলাকায় চলাফেরার ক্ষেত্রে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। গবেষণার অংশ নেয়া নারীদের ৮৮ ভাগই মনে করেন, তারা পথচারি, পুরুষÑযাত্রী এবং ক্রেতাদের দ্বারা হয়রানির শিকার হন।নারীর জন্য নিরাপদ শহর গড়ার প্রতিশ্রুতি নিয়ে এ্যাকশন এইড অন্যান্য সংগঠনের সমন্বয়ে গত ২ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে এ ক্যাম্পইনের প্রচারণা শুরুকরে।