DoinikBarta_দৈনিকবার্তা 18-05-15-PM_Tele Comunication Day-4
দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৯ মে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, ২০১৭ সালের মধ্যেই কক্ষপথে বাংলাদেশের নিজস্ব স্যাটেলাইট স্থাপিত হবে, যা দেশের টেলিযোগাযোগসহ তথ্য প্রযুক্তি খাতে যুগান্তকারী পরিবর্তন নিয়ে আসবে। তিনি বলেন, দেশের সর্বপ্রথম নিজস্ব স্যাটেলাইট ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’ স্থাপনের জন্যে আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছি। ইতোমধ্যেই অরবিটাল স্লট ক্রয় করা হয়েছে। আমি আশা করি, ২০১৭ সালের মধ্যেই কক্ষপথে বাংলাদেশের নিজস্ব স্যাটেলাইট স্থাপিত হবে, যা দেশের টেলিযোগাযোগসহ তথ্য-প্রযুক্তি খাতে যুগান্তকারী পরিবর্তন নিয়ে আসবে।
প্রধানমন্ত্রী সোমবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্যসংঘ দিবস এবং আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের (আইটিইউ) ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী ভাষণে এ কথা বলেন। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং আইসিটি মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ইমরান আহমেদ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন। এতে সভাপতিত্ব করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. ফয়জুর রহমান চৌধুরী। অনুষ্ঠানে আইটিইউ’র মহাসচিব হোউলিন ঝাও-এর ভিডিও বার্তাও প্রচার করা হয়।
বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বসু অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এবং বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্যসংঘ দিবসের মূল প্রতিপাদ্যের ওপর নিবন্ধ উপস্থাপন করেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী অন লাইন রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্যসংঘ দিবস এবং আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এই উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী একটি ডাক টিকিট অবমুক্ত করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জ্ঞান-বিজ্ঞান ও তথ্য-প্রযুক্তিকে শোষণমুক্ত সমাজ গড়ার হাতিয়ার হিসেবে বিবেচনা করতেন। তাঁর সাড়ে তিন বছরের সরকারে ডাক ও টেলিযোগাযোগ খাত তথা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিকাশে জাতির পিতা তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখে গেছেন।
তিনি বলেন, জাতির পিতার আন্তরিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ ১৯৭৩ সালে ‘আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) সদস্য পদ লাভ করে। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামের বেতবুনিয়ায় ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন উপগ্রহ ভূ-কেন্দ্র স্থাপন করেন। এই উপগ্রহ ভূ-কেন্দ্রের মাধ্যমে সারাবিশ্বের সাথে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের যোগাযোগের ক্ষেত্রে সুদূরপ্রসারী ভিত্তি রচিত হয়। শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা হলে অন্যান্য খাতের মত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতেও বাংলাদেশের অগ্রগতি থেমে যায়।
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ ২১ বছর পর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে পুনরায় সরকার গঠন করে। সেসময় একটি মাত্র প্রতিষ্ঠান মোবাইল সেবা প্রদান করত। এই মনোপলি ব্যবসা ছিল বিএনপি’র এক মন্ত্রীর। লক্ষাধিক টাকা মূল্যের সে সংযোগ ধনাঢ্য ও সৌখিন ব্যক্তি ছাড়া কারও সামর্থ্যরে মধ্যে ছিল না। আমরা মোবাইলের সেই মনোপলি ভেঙে দেই। প্রাথমিকভাবে তিনটি অপারেটরদের মোবাইল লাইসেন্স প্রদান করি। মোবাইল সংযোগ সাধারণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের পদক্ষেপের ফলেই দেশে কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের বিস্তার শুরু হয়। আমরা ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি খাতে ব্যাপক পরিবর্তনের সূচনা করি।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর বিএনপি-জামাত জোট আর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রেখে যাওয়া অচলাবস্থা কাটিয়ে তুলে আমাদের নির্বাচনী ওয়াদা ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ এর বাস্তবায়ন শুরু করি। তিনি বলেন, আমরা পৃথকভাবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করি। দেশের তথ্য-প্রযুক্তি ও টেলিযোগাযোগ কার্যক্রমের মধ্যে সমন্বয় সাধনের জন্য আমরা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়কে একত্রিত করে একক মন্ত্রণালয় গঠন করি। টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তির সুফল দেশের প্রতিটি প্রান্তে পৌঁছে দিতে আমরা ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন করি।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সালে সরকার গঠনের সময় মোবাইল ও ল্যান্ডফোনের গ্রাহক সংখ্যা ছিল পাঁচ কোটি, যা বৃদ্ধি পেয়ে এখন প্রায় সাড়ে বারো কোটিতে পৌঁছেছে। জনগণ শুধু ১২ কোটি ৩৬ লাখ ৯০ হাজার মোবাইল সীম ব্যবহার করছে। তিনি বলেন, সে সময় ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা ছিল মাত্র ৪০ লাখ। বর্তমানে এ সংখ্যা প্রায় সাড়ে চার কোটি। গত সাড়ে ছয় বছরে ইন্টারনেট ডেনসিটি ২.৫ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে এখন ২৭.৪২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। টেলিডেনসিটি আড়াই গুণ বেড়ে এখন ৮০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। আজ দেশের ৯৯ ভাগ এলাকা মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতায় এসেছে। দেশে ৩-জি প্রযুক্তির মোবাইল নেটওয়ার্ক চালু করা হয়েছে। ৪-জি প্রযুক্তিও অচিরেই চালু করা হবে।
তিনি বলেন, তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করতে ইন্টারনেট সহজলভ্য করার কোন বিকল্প নেই। এজন্য আমরা ইন্টানেটের মূল্য কমিয়েছি। প্রতি এমবিপিএস ইন্টারনেটের মূল্য ২৭ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে সর্বনি¤œ ৬১২ টাকা পর্যন্ত করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এছাড়া সরকারের আইসিটি বিভাগ একটি বেসরকারি মোবাইল অপারেটর এবং ফেসবুকের সহায়তা নিয়ে বিনা পয়সায় ইন্টারনেট সেবা চালু করেছে। ইন্টারনেটের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে আমরা সাবমেরিন ক্যাবলের ক্যাপাসিটি ২০০ জিবিপিএস পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছি। শেখ হাসিনা বলেন, ইন্টারনেট ক্যাপাসিটি আরও বৃদ্ধি করতে আমরা দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের সঙ্গে বাংলাদেশকে যুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছি। এ সংযোগের কাজ চলমান রয়েছে। আশা করি, ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে এ কাজ শেষ হবে। দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলে বাংলাদেশে প্রায় ১ হাজার ৩০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ অর্জন করবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯১-৯৬ মেয়াদে বিএনপি সরকার বিনা খরচে সাবমেরিন ক্যাবল নেয়নি, যা আমাদের টাকা দিয়ে নিতে হয়েছে। সে সময় তারা সাবমেরিন ক্যাবল নিলে অনেক আগেই আমরা দ্বিতীয় ক্যাবল স্থাপন করতে পারতাম। তিনি বলেন, সাবমেরিন ক্যাবলের পাশাপাশি টেরেস্ট্রিয়াল ক্যাবলের মাধ্যমেও আন্তর্জাতিক যোগাযোগ গড়ে তোলা হয়েছে। এখন দেশের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি আমরা পার্শ্ববর্তী দেশেও ব্যান্ডউইডথ রপ্তানি করতে যাচ্ছি। যা থেকে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্ন নিয়ে ২০০৯ সালে সরকারের যাত্রা শুরু করেছিলাম, তা আজ বাস্তবে রূপ নিয়েছে। দেশের মানুষ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা, ভিডিও কল, টেলিভিশন অনুষ্ঠান দেখাসহ নানাবিধ ই-সেবা পাচ্ছেন। আমরা পার্বত্য জেলা ও সুন্দরবনসহ দুর্গম এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক চালু করেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, টেলিকম খাতে আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে আনতে আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। টেলিফোন শিল্প সংস্থা বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল টেলিফোন সেট উৎপাদনের পাশাপাশি ল্যাপটপ, মোবাইল, ব্যাটারি, মোবাইল ব্যাটারি চার্জার, প্রি-পেইড ইলেকট্রিক মিটার সংযোজন করে স্বল্পমূল্যে বাজারজাত করছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ ক্যাবল শিল্প লিমিটেড ২০১১ সাল থেকে অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু করেছে। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক পরিম-লেও আমরা টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে অবদান রেখে চলেছি। ২০১০ থেকে ২০১৪ মেয়াদের পর আমরা আবার চার বছরের জন্য আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের (আইটিইউ) কাউন্সিল সদস্য নির্বাচিত হয়েছি।
শেখ হাসিনা বলেন, তথ্য-প্রযুক্তির সফল ব্যবহারের অবদান স্বরূপ আমরা ২০১১ সালে মর্যাদাপূর্ণ ‘সাউথ সাউথ এ্যাওয়ার্ড’ এবং ২০১৪ সালে সাউথ সাউথ কো-অপারেশন ভিশনারী এ্যাওয়ার্ড লাভ করি। তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে জনগণের দোরগোড়ায় সরকারি সেবা প্রদানে সাফল্যের স্বীকৃতি স্বরূপ আইটিইউ বাংলাদেশকে ২০১৪ সালে ‘ওয়ার্ল্ড সামিট অন ইনফরমেশন সোসাইটি’ (ডব্লিউএসআইএস) পুরস্কারে ভূষিত করে। এছাড়া ওয়ার্ল্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি এন্ড সার্ভিস এ্যালায়েন্স, মেক্সিকো থেকে ২০১৪ সালে বাংলাদেশ ডব্লিউআইটিএসএ-২০১৪ গ্লোবাল আইসিটি এ্যাক্সিলেন্স এ্যাওয়ার্ড অর্জন করে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করেছি। দেশের সকল উপজেলায় অপটিক্যাল ফাইবার কানেকটিভিটি এবং সকল জেলায় ‘জেলা তথ্য বাতায়ন’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। জাতীয় ডাটা সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, পঁচিশ হাজার ওয়েবসাইট নিয়ে আমরা বিশ্বের সবচেয়ে বড় ওয়েব পোর্টাল ‘জাতীয় তথ্য বাতায়ন’ চালু করেছি। ই-কমার্স, ই-লেনদেন, ই-গভর্নেন্স চালু হয়েছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তাদের স্ব স্ব ওয়েবসাইটে ডিজিটাল স্বাক্ষর ব্যবহার শুরু করেছে। ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে পারস্পারিক যোগাযোগকে দ্রুত ও সহজতর হয়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, অনলাইন ও এসএমএস-এর মাধ্যমে পাবলিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি, চাকুরিতে নিয়োগ সংক্রান্ত কাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে। মোবাইল ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন ইউটিলিটি বিল পরিশোধ, কৃষি, চিকিৎসা ও ব্যাংকিং সেবা এবং দুর্যোগের পূর্বাভাস প্রদান করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারে বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে অন্যতম। আউট সোর্সিং খাতে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়। তথ্য-প্রযুক্তি এখন জনগণের ক্ষমতায়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনের অন্যতম হাতিয়ার। তিনি আরও বলেন, দেশের কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, অবকাঠামো উন্নয়ন, ব্যবসা-বাণিজ্য, বৈদেশিক সম্পর্ক প্রতিটি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আজ ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করছে। আমাদের মাথাপিছু আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩১৪ মার্কিন ডলার। মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার সকল শর্ত আমরা পূরণ করেছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, অপরাজনীতি আর মানুষ হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশকে যারা অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়, দেশের মানুষ আজ তাদের মুখোশ খুলে দিয়েছে। জনগণ বিএনপি-জামাতের উন্নয়ন বিরোধী, হত্যা ও ধ্বংসাত্মক কার্যক্রমকে রুখে দাঁড়িয়েছে। লাখো শহীদের রক্তে ভেজা বাংলাদেশের অগ্রগতি আর কেউ ঠেকাতে পারবে না বলে তিনি উল্লেখ করেন।