দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৯ মে: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার “গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম” গ্রন্থের সংবাদ চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করেছেন। শিল্পকলা একাডেমীর ৬নং গ্যালরীতে এই গ্রন্থের প্রদশর্ন চলবে। ১৯মে মঙ্গলবার প্রদর্শনী পরিদর্শনে আসেন শিল্প মন্ত্রী আমির হোসেন আমু এমপি, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন মেয়র আনিসুল হক ,আর টিভির ও মার্কেন্টাইল ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোর্শেদ আলম,অভিনেতা এম এ আজিজ সহ আরো অনেক চলচ্চিত্রঅভিনেতা রচয়িতা অভিনেত্রী কন্ঠশিল্পী নৃত্য শিল্পীবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী, বক্তব্য রাখেন, যুবলীগ সাধারন সম্পাদক মোঃ হারুনুর রশিদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী,শিরাজুল ইসলাম মোল্লা এমপি, যুগ্ম সম্পাদক মহিউদ্দিন আহাম্মেদ মহী, মন্জুর আলম শাহীন, সাংগঠনিক সম্পাদক বদিউল আলম বদি,ফজলুল হক আতিক,আসাদুল হক আসাদ,দপ্তর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমান, সম্পাদক-সুবাস চন্দ্র হলদার, মিজানুল ইসলাম মিজু, উপ সম্পাদক- শেখ বোরহান উদ্দিন বাবু, ইকবাল মাহ্মুদ বাবলু, শ্যামল কুমার রায়, যুবলীগ ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি মাইনুল হোসেন খান নিখিল, সাধারন সম্পাদক মো: ইসমাইল হোসেন, যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিন ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্প মন্ত্রী আমির হোসেন আমু এমপি বলেন, জিয়াউর রহমান আমলেই কার্চুপির নিবাচন শুরু হয়েছিল হা-না ভোটের মাধ্যমে এদেশের মানুষের ভোটের অধিকার হনন করা হয়েছিল। কারন দুই তৃতিয়াংশ সংখ্যাগরিষ্টতা না হলেতার অবৈধ সরকারের বৈধতা দেয়া যেতোনা।১৯৮১ সালের ১৭ মে জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরেই মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার আন্দোলন শুরু করল। মন্ত্রী বলেন এই আন্দোলন করতে গিয়ে বার বার নেত্রীকে প্রান নাশের হামলা করা হলেও আল্লাহ তালার মেহের্বানীতে তিনি বেচে যান।এবং আজও তিনি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সংগ্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।সভাপতির বক্তব্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান মোঃ ওমর ফারুক চৌধুরী বলেছেন, আমরা মনেকরি সমালোচনা প্রসংশার নামান্তর, সমালোচনা করা সহজ কিন্তু প্রসংশা করা কঠিণ শুধু যুবলীগ, ছাত্রলীগের সমালোচনা না করে ভালো কজের প্রসংশা করুন।
মন্ত্রী ,এমপি, সাংবাদিক ও পুলিশের মধ্যে মন্দলোক নেই তা নয় তিনি বলেন, ভালো মন্দ মিলিয়ে মানুষ। যুবলীগের ভাল কাজ গুলোর প্রশংসা করতে অনুরোধ জানান। রাষ্ট্র নায়ক শেখ হাসিনা বিএনপি-জামায়াতের শত অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের সব বাধা-বিঘœকে পাশ কাটিয়ে বাংলাদেশকে নিয়ে যাচ্ছেন ভিশন-২০৪১-এর লক্ষ অর্জনে। তাঁর সেই প্রত্যাবর্তন ইতিহাসে একটি বড় বাঁক, একটি বড় অধ্যায়। তাই সেই প্রত্যবার্তনে ৩৪ বছর উদযাপন উপলক্ষে আজ আমরা দেখছি তারেই হাত ধরে এই দেশে আসা বড় বড় সাফল্যগুলো। সর্বশেষ ঐতিহাসিক সীমান্ত চুক্তির ফলে বদলে গেছে বাংলাদেশ,পাল্টে যাচ্ছে বাংলাদেশের মানচিত্র, যোগ হবে আরো ১০ হাজার ২৫০ একর ভূখন্ড। এরই নাম শেখ হাসিনা। ঐতিহাসিক মুজিব ইন্দিরা চুক্তি ভারতের লোক সভায় পাশ হওয়ায়, এ সময় যুবলীগ চেয়ারম্যন আরও বলেন, সীমান্তচুক্তি বাস্তবায়নের ফলে দীর্ঘ প্রায় ৭০ বছরের সীমান্ত সমস্যার সমাধান হলো। ১৯৪৫ সালে নেহেরু এই সীমান্ত চুক্তি করেছিল।