দৈনিকবার্তা-রাজশাহী, ১৯ মে: রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বরখাস্ত হওয়ার ১২ দিন অতিবাহিত হতে চললেও ভারপ্রাপ্ত মেয়র বা প্রশাসক এখনো রাসিকের দায়িত্বভার গ্রহণ করেননি। প্যানেল মেয়র-১ জেল হাজতে, প্যানেল মেয়র-২ পলাতক এবং প্যানেল মেয়র-৩ এর দায়িত্বভার পাওয়া নিয়ে জটিলতা থাকায় স্থবির হয়ে পড়ছে রাসিক। এতে রাসিকের প্রশাসনিক ও দৈনন্দিন কর্মকান্ড ব্যাহত হচ্ছে। থমকে দাঁড়িয়েছে উন্নয়ন কর্মকান্ড। দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে অচলাবস্থা।
কে-হচ্ছেন ভারপ্রাপ্ত মেয়র এ নিয়ে উৎকন্ঠায় নগরবাসী। অবিলম্বে এই জটিলতার সমাধান না হলে রাজশাহীর উন্নয়নকে আবারো বাধাগ্রস্ত করবে। বিশেষ করে মেয়রসহ ২৬ কাউন্সিলরের কর্মস্থলে অনুপস্থিতি রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সমস্যাকে ঘনিভুত করে তুলেছে। অধিকাংশ ওয়ার্ড কাউন্সিলর উন্নয়ন কর্মকান্ডের বাইরে থাকায় স্থবির হয়ে পড়েছে রাসিকের উন্নয়ন কার্যক্রম। ফলে সমস্যা মাথায় নিয়ে চলতে হচ্ছে নগরবাসীকে। রাসিকের সকল কার্যক্রমই চলছে ঢিলাঢালা ভাবে। শুধু উন্নয়ন নয় সকল ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ছে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন। তৈরি হচ্ছে না নিত্য নতুন রাস্তা-ঘাট। পানি নিষ্কাশনের জন্য তৈরি হচ্ছে না ড্রেনেজ ব্যবস্থা। এর ফলে আশেপাশে বেড়ে যাচ্ছে মশা-মাছির উপদ্রব। ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন ধরনের রোগ-বালাই।
নির্বাচনের পর এ পর্যন্ত উন্নয়নের কোন পরিকল্পনাই গ্রহণ করা হয়নি রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনে। নগরীর নতুন কোন পরিকল্পনা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিপাতেই ঐসব এলাকায় পানি জমে জনজীবনে নেমে আসে দুর্ভোগ। দুই বছর আগে নগরীর উন্নয়নে যে পরিকল্পনা নেয়া হয়েছিল তার অধিকাংশ কাজও এখন বন্ধ। অথচ গত ২০১৩ সালের ১৫ জুনের নির্বাচন অনুষ্ঠানে নতুনভাবে নির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের বহু ওয়াদা ছিল। ওয়াদা দিয়েছিলেন রাজশাহী মহানগরকে আধুনিক মহানগর হিসাবে গড়ে তোলা হবে। অথচ তার সামান্যতম কিছুই হয়নি এ পর্যন্ত।
নগরীতে নিয়ম ভাঙ্গার প্রতিযোগিতা। দেখার কেউ নেউ। কোন স্থানে সংস্কারের প্রয়োজন হলে তার সংস্কারের নামে তাকে আরো অকেজো করে দেয়া হচ্ছে। বেআইনী হলেও রাস্টার উপর ইট-বালু ফেলে অবাধে চলছে ভবন নির্মাণেরে কাজ। এছাড়াও নগরীতে রাস্তা দখল করে অবাধে চলছে ব্যবসা-বাণিজ্য। কোন স্ট্যান্ড না থাকায় যত্রতত্র অটোরিকশা থামিয়ে যানজট সৃষ্টি করে জনদুর্ভোগকে চরমে নিয়ে গেছে। তারা সিটি কর্পোরেশনকে ট্যাক্স দিলেও তাদের জন্য তৈরি হয়নি দাঁড়াবার জন্য স্ট্যান্ড। এরফলে পুলিশের লাঠি পিটা খেয়েই চালাতে হচ্ছে গাড়ি।
কে-হচ্ছেন ভারপ্রাপ্ত মেয়র এ নিয়ে উৎকন্ঠায় নগরবাসী। অবিলম্বে এই জটিলতার সমাধান না হলে রাজশাহীর উন্নয়নকে আবারো বাধাগ্রস্ত করবে। বিশেষ করে মেয়রসহ ২৬ কাউন্সিলরের কর্মস্থলে অনুপস্থিতি রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সমস্যাকে ঘনিভুত করে তুলেছে। অধিকাংশ ওয়ার্ড কাউন্সিলর উন্নয়ন কর্মকান্ডের বাইরে থাকায় স্থবির হয়ে পড়েছে রাসিকের উন্নয়ন কার্যক্রম। ফলে সমস্যা মাথায় নিয়ে চলতে হচ্ছে নগরবাসীকে। রাসিকের সকল কার্যক্রমই চলছে ঢিলাঢালা ভাবে। শুধু উন্নয়ন নয় সকল ৰেত্রে পিছিয়ে পড়ছে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন। তৈরি হচ্ছে না নিত্য নতুন রাসÍা-ঘাট। পানি নিষ্কাশনের জন্য তৈরি হচ্ছে না ড্রেনেজ ব্যবস’া। এর ফলে আশেপাশে বেড়ে যাচ্ছে মশা-মাছির উপদ্রব। ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন ধরনের রোগ-বালাই। ইতিমধ্যে রাসিক কর্তৃপক্ষ খোঁড়া রাস্তা মেরামতের আশ্বাস দিয়েও কথা রাখতে পারেনি তারা।
সূত্র মতে, রাসিক নিয়ন্ত্রিত রাজশাহী চিড়িয়াখানাটি এখন দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। ইতোমধ্যে খাদ্যের অভাবে খাঁচা ছেড়ে পালিয়েছে অজগর সাপটি। এর আগে খাঁচা থেকে পালিয়েছিল একটি মেছো বাঘ। সে বাঘটি গ্রামের মানুষ মরোমরো অবস্থায় চিড়িয়া খানায় ফেরত দিলেও এখন আর কোন বাঘ নাই চিড়িখানায়। আর খাবার না পেয়েই পালিয়ে যাচ্ছে অজগর সাপ ও মেছো বাঘ। রাসিক নিয়ন্ত্রিত এমন কোন প্রতিষ্ঠান নেই যে সেখানে সুষ্ঠু ভাবে চলছে। কাউন্সিলরের অনুপস্থিতিতে ওয়ার্ড চালাচ্ছেন ওয়ার্ড সচিবগণ। তারা অফিসিয়াল কাজ চালালেও জনসম্পর্কিত সকল কাজই এখন বন্ধ। এতে কাজের নাই কোন গতি। কাজ হচ্ছে কোন ভাবে দায়সারা গোছের। সকল ধরনের সেবা থেকে বঞ্চিত সর্বসাধারণ। এমনকি নাগরিকত্ব সনদপত্রে কাউন্সিলরের সামান্য স্বাক্ষর নিতে চলে যায় ৪ থেকে ৫ দিন। এরফলে বিভিন্ন কাজে হয়রানীর সম্মুখীন হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। চরম সমস্যায় জীবন-যাপন করছে নগরবাসী।