DoinikBarta_দৈনিকবার্তাbarnikat

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৯ মে: যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের পোশাক খাতের অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধার (জিএসপি) বিষয়টি পর্যবেক্ষণে রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা স্টিফেন্স ব্লুম বার্নিকাট।মঙ্গলবার রাজধানীর এক হোটেলে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশের (আইবিএফবি) বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত এ বিষয়টি জানান।

তিনি বলেন,বাংলাদেশের পোশাক কারখানাগুলোর কর্মপরিবেশ আগের চেয়ে অনেক উন্নত হয়েছে। পোশাক খাতের সংস্কারের অগ্রগতিতে যুক্তরাষ্ট্র সরকার সন্তুষ্ট। তবে ভবনের নিরাপত্তা, অগ্নি নির্বাপন, শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করার বিষয়ে সরকারের প্রচেষ্টাসহ জিএসপি পেতে বেশ কিছু বিষয়ের আরো অগ্রগতির আশা করছে যুক্তরাষ্ট্র। এসব বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণে রয়েছে।বার্নিকাট বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। বাণিজ্যিক দিক থেকে দুই দেশ একে অন্যকে সহযোগিতা করে আসছে। যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পরও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশ অনেক ভালো করেছে। এ দুর্ঘটনা মোকাবিলায় উৎপাদনকারী, ক্রেতা, বিক্রেতা ও সরকার সম্মিলিত পদক্ষেপ নিয়েছে। ফলে পোশাক খাতের সংস্কারে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। আশা করছি বাংলাদেশের এ ধারা অব্যাহত থাকবে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে দ্রুত মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে বাংলাদেশ।এছাড়া বাংলাদেশ আঞ্চলিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও ভালো করছে বলে মন্তব্য করেন এ রাষ্ট্রদূত।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি এফবিসিসিআই সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের অর্থনীতির যে সাফল্য এসেছে তা ধরে রাখতে হলে অবকাঠামো উন্নয়নে নজর দিতে হবে। কারণ একটি দেশের অর্থনীতির প্রধান ইঞ্জিন হলো বেসরকারি খাত। এ খাতের অংশগ্রহণ ছাড়া নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌঁছানো কোনভাবে সম্ভব নয়। তাই আমি মনে করি, আপনাদের সঙ্গে দেশি-বিদেশি যেসব ব্যবসায়ী রয়েছেন তাদের বিনিয়োগে উৎসাহিত করুন এবং উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখুন। কারণ, দেশীয় বিনিয়োগ উৎসাহিত না হলে বিদেশি বিনিয়োগও আসবে না।যুক্তরাষ্ট্রকে জিএসপি সুবিধা ফিরিয়ে দিয়ে বার্নিকাটের কাছে দাবিও জানান এই ব্যবসায়ী নেতা।আইবিএফবির সভাপতি হাফিজুর রহমান খানের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির উদ্যোক্তা সভাপতি মোহাম্মদ ইসলাম চৌধুরী, সহ-সভাপতি মো. ওমর সরিফ কাউসার, সহ-সভাপতি (অর্থ) হুমাউনুর রশিদ।