DoinikBarta_দৈনিকবার্তা 1410255377MOJIBUL20140909132018

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৯ মে: রেলপথ মন্ত্রী মো.মুজিবুল হক বলেছেন, বর্তমান সরকারের নেয়া রেলওয়ে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে রেলওয়ে আরো নিরাপদ, সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব পরিবহন মাধ্যমে পরিণত হবে।তিনি আশা প্রকাশ করেন, বর্তমান সরকারের মেয়াদে চলমান প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত এবং দৃশ্যমান হবে।রেলপথ মন্ত্রী মঙ্গলবার রাজধানীর রেল ভবনের যমুনা অডিটোরিয়ামে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতাকালে একথা বলেন।রেলপথ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ রেলওয়ে এবং ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্ট এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক সাইফুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ফিরোজ সালাহউদ্দিন, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আমজাদ হোসেন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (আরএস) মো. খলিলুর রহমান, বুয়েটের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এম শফিউল্লাহ, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের চেয়ারম্যান আবু নাসের খান এবং সালমা মাহবুব বক্তৃতা করেন।রেলপথ মন্ত্রী বলেন, চীনের অর্থায়নে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ করা হবে। তিনি বলেন, রেলওয়েতে ৭০টি লোকোমোটিভ সংগ্রহ করা হবে। এ জন্য আগামী ৩১ মে টেন্ডার খোলা হবে।তিনি বলেন, সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার আধুনিকায়নের কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রামের পাহাড়তলীর কারখানার আধুনিকায়নের জন্য টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। এগুলোর কাজ শেষ হলে রেলওয়ে কোচ ও ওয়াগন মেরামতের কাজ ত্বরান্বিত হবে।মন্ত্রী বলেন, এডিবি’র অর্থায়নে ১৫০টি যাত্রীবাহী কোচ ও ভারতীয় অর্থায়নে ১২০টি কোচ সংগ্রহ করা হচ্ছে। আগামী ৬ মাস পর এগুলো দেশে আসতে শুরু করবে। তিনি বলেন, এছাড়া আরো ২০০ যাত্রীবাহী কোচ সংগ্রহ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।দোহাজারী-রামু-গুনদুম রেলপথ নির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তরিক একথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এই রেলপথ নির্মাণে চীন অথবা এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) অর্থায়ন করবে। এছাড়া কর্ণফুলী নদীর উপর রেল কাম রোড ব্রীজ নির্মাণ করা হবে।তিনি বলেন, যমুনা নদীর উপর বঙ্গবন্ধু সেতুর পাশাপাশি রেল ব্রীজ নির্মাণ করা হবে। জাইকা এই প্রকল্পে অর্থায়ন করবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

মন্ত্রী বলেন, খুলনা-মংলা রেলপথ নির্মাণের কাজ শিগগিরই শুরু হবে। তিনি বলেন, কাশিয়ানি-গোপালগঞ্জ-টুঙ্গিপাড়া পর্যন্ত নতুন রেলপথ নির্মাণ করা হবে। এছাড়া ঈশ্বরদী-পাবনা-ঢালারচর রেল লাইন নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।তিনি বলেন, টঙ্গী থেকে ঢাকা পর্যন্ত তৃতীয় ও চতুর্থ লাইন এবং টঙ্গী থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত ডাবল লাইন রেলপথ নির্মাণ করা হবে। এছাড়া ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ডাবল লাইন নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।মন্ত্রী জানান, আগামী পবিত্র ঈদুল ফিতরে যাত্রী সেবা দেয়ার লক্ষে অতিরিক্ত লোকোমোটিভ ও কোচ সরবরাহ করা হবে। এ জন্য রেলওয়ে কারখানাগুলোতে কাজ শুরু হয়েছে।তিনি বলেন, রেলওয়ের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।আলোচনা সভায় বক্তারা বাংলাদেশ রেলওয়েকে নিরাপদ, ব্যয় সাশ্রয়ী ও পরিবেশ বান্ধব গণপরিবহন হিসেবে গড়ে তোলার উপর গুরুত্বারোপ করেন।