দৈনিকবার্তা-নয়াদিল্লী, ১৯ মে: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আসন্ন বাংলাদেশ সফরকালে শুধু সড়ক যোগাযোগ ক্ষেত্রে চারটি চুক্তির সম্ভাবনা রয়েছে। সোমবার ভারতের ট্রান্সপোর্ট মন্ত্রী নিতেন গাটকারীর সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের একথা জানান। নরেন্দ্র মোদী আগামী মাসে বাংলাদেশ সফরে যাবেন।
তিনি জানান, ভারতের ট্রান্সপোর্ট মন্ত্রীর সাথে অত্যন্ত সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। তিনি জানান, আলোচনাকালে তিনি যোগাযোগ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের কর্মকান্ড ও উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেন। ভারতের মন্ত্রী নিতিন গাটকারী যোগাযোগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করেন। এ সময় ওবায়দুল কাদের দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্যে এ অঞ্চলের দেশসমূহের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধির উপর গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশের যোগাযোগ ক্ষেত্রে ভারতের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন। ভারতের মন্ত্রী সকল প্রকার সহযোগিতার আশ্বাস দেন বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল এবং ভুটানের মধ্যে (বিমস্টেক) মোটর যান চুক্তি আগামী মাসে চার দেশের যোগাযোগ মন্ত্রীর বৈঠকে স্বাক্ষরিত হবে। এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে এই অঞ্চলের যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন যুগের সূচনা হবে। ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকালে যোগাযোগের যে সব ক্ষেত্রে চুক্তি স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে ফেনী নদীর উপর সেতু নির্মাণ। এই সেতু ভারত নির্মাণ করবে। এছাড়া আগরতলা-ঢাকা-কলতকাতা বাস সার্ভিস, আশুগঞ্জ থেকে আশুগঞ্জ পণ্য পরিবহন সংক্রান্ত চুক্তি হতে পারে।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ঢাকা-শিলং-গোহাটি বাস সার্ভিসের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে। আগামী ১৮ জুন এর ট্রায়াল রান শুরু হবে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী এ সার্ভিসের উদ্বোধন করতে পারেন। তিনি জানান, ভারতের ট্রান্সপোর্ট মন্ত্রীর সাথে বৈঠককালে কলকাতা,চট্টগ্রাম, শিলং চট্টগ্রাম, যশোহর, কলকাতা, খুলনা নতুন বাস সার্ভিস চালুর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ প্রর্যায়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
তিনি জানান, প্রথম ক্রেটিড লাইনের অধীনে বাংলাদেশ ভারত থেকে ৮৫৮টি বাস ক্রয় করেছে। দ্বিতীয় ক্রেডিট লাইনের অধীনে আরো ৫০০ ট্রাক ১০০ সংযুক্ত বাস ৩৩ দ্বিতল বাস কেনার জন্যে প্রস্তাাব করা হয়েছে। ভারতের ট্রান্সপোর্ট মন্ত্রী বিষয়টি সক্রিয় বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন। আলোচনাকালে ভারতের লোক ও রাজ্যসভায় সর্বসম্মতভাবে সীমান্ত চুক্তি অনুমোদন বিল পাস করায় ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানান।