obaidul-kader

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৮ মে: বাংলাদেশ, ভারত, ভুটান ও নেপালের মধ্যে অচিরেই সড়ক পরিবহন ব্যবস্থা চালু হতে যাচেছ৷এ বিষয়ে সম্ভাব্য একটি চুক্তি স্বাক্ষরের লক্ষ্যে চারদেশের সড়ক পরিবহন মন্ত্রীরা আগামী জুনে ভূটানের রাজধানী থিম্পুতে মিলিত হবেন৷সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বুধবার সকালে নয়াদিলস্নীর পরিবহন ভবনে সফররত বাংলাদেশের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সড়ক পরিবহন, মহাসড়ক ও নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শ্রী নিতিন গাদকারি’র মধ্যে এক দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়৷বৈঠকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান সড়ক নেটওয়ার্ক আরও জোরদার করণে দু’দেশের মধ্যে প্রসত্মাবিত বিবিধ চুক্তি ও প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়৷দ্বি-পাক্ষিক এ বৈঠকে ঢাকা-শিলং-গৌহাটি রম্নটে আগামী ২২ মে পরীক্ষামূলক বাস চলাচল শুরুর বিষয়ে আলোচনা হয়৷ এ লৰ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য দ্রুত কার্যক্রম এগিয়ে নিতে উভয় পৰ সম্মত হয়৷ভারতের সম্ভাব্য ২য় ঋণ সহায়তা ‘এলওসি’র আওতায় বিআরটিসি’র জন্য ৫শ’ ট্রাক, ৩শ’ ডাবল ডেকার বাস, ১শ’ আর্টিকুলেটেড বাস এবং প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সংগ্রহের বিষয়ে বাংলাদেশের প্রসত্মাবে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়৷এছাড়া বৈঠকে ভারতের সহায়তায় রামগড়-সাবরুম পয়েন্টে ফেনী নদীর উপর সেতু নিমর্াণ, কলকাতা-ঢাকা-আগরতলা বাস সার্ভিস চালু, আশুগঞ্জ-আখাউড়া সড়ক চারলেনে উন্নীতকরণসহ অন্যান্য বিষয়া নিয়ে আলোচনা হয়৷এসময় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ৷ তিনি দীর্ঘ প্রত্যাশার স্থল সীমানত্ম চুক্তি বাসত্মবায়নে সংবিধান সংশোধন বিল ভারতের রাজ্যসভা ও লোকসভায় সর্বসম্মতিক্রমে পাশ হওয়ায় নরেন্দ্র মোদি’র নেতৃত্বাধীন সরকার, বিরোধী দলসহ সকল রাজনৈতিক দল ও ভারতীয় জনগণকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও জনগণের পৰ থেকে ধন্যবাদ জানান৷

kk1

মন্ত্রী বলেন, আমরা দু’দেশের মধ্যে সন্দেহ ও অবিশ্বাসের দেয়াল ভেঙে সৌহার্দ্যের সেতুবন্ধ রচনা করতে চাই৷বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ভারত সরকারের সড়ক পরিবহনমন্ত্রী দু’দেশের মধ্যে সড়ক নেটওয়ার্ক জোরদার করার মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন৷ তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী’র নেতৃত্বে দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতা, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির নতুন দিগনত্ম উন্মোচিত হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন৷বৈঠকে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি সাত সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন৷ প্রতিনিধিদলে ছিলেন সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী এম. ফিরোজ ইকবাল, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের যুগ্মসচিব চন্দন কুমার দে, সওজ’র নির্বাহী প্রকৌশলী শিশির কানত্মি রাউথ এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মো. আবু নাছের৷এসময় নয়াদিলস্নীস’ বাংলাদেশ হাই-কমিশনের ডেপুটি হাই-কমিশনার সালাহ উদ্দিন নোমান চৌধুরী, হাই-কমিশনের প্রথম সচিব শেখ শাহরিয়ার মোশাররফ প্রতিনিধিদলে ছিলেন৷