দৈনিকবার্তা-বরিশাল, ১৮ মে: বরিশালের আগৈলঝাড়ায় অতিদরিদ্রদের জন্য ৪০ দিনের কর্মসংস্থান কর্মসূচী প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়াগেছে। সংশ্লিষ্ট কর্ম কর্তাদের যোগসযোগে জনপ্রতিনিধি ও প্রকল্প কর্মকর্তারা অতিদরিদ্রদের জন্য ৪০ দিনের কর্মসংস্থান কর্মসূচী প্রকল্পের টাকা অনিয়মের অবিযোগ করছে । সাধারন জনগন ।
সূত্রেমতে জানাগেছে, আগৈলঝাড়া উপজেলায় ৪৬টি প্রকল্পে বাস্তবায়নে ১৭শ ২২ জন অতিদরিদ্রদের জন্য ৪০ দিনের কর্মসংস্থান কর্মসূচী প্রকল্পে শ্রমিকদের জন্য বরাদ্দের পরিমান ১ কোটি ৩৭ লক্ষ ৭৬ হাজার টাকা। এর মধ্যে গৈলা ইউনিয়নে ১১টি প্রকল্পে ৩ শ ২৭ জন অতিদরিদ্রদের জন্য ৪০ দিনের কর্মসংস্থান কর্মসূচী প্রকল্পের শ্রমিকদের জন্য বরাদ্দের পরিমান ২৬ লক্ষ ১৬ হাজার টাকা। গৈলা ইউনিয়নের ১ নং ও ২নং ওয়ার্ডে ৩০ নম্বর প্রকল্পে পূর্ব কাঠিরা নিরঞ্জণ মল্লিকের বাড়ি থেকে বিনয় হালদারের বাড়ি প্রর্যন্ত রাস্তা নির্মান ভায়া কালুরপাড় দূর্গা মন্দিরের মাঠ ভরাট। বরাদ্ধকৃত টাকার পরিমান ৩ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। আরও জানাযায় হতদরিদ্র শ্রমিকদের দ্বারা কাজ না করিয়ে ঠিকা চুক্তিতে কাজ করানো হচ্ছে তাতে করে স্থানীয় বেকার শ্রমিকরা কাজ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।সরজমিনে গিয়ে প্রত্যক্ষকরা যায় পূর্ব কাঠিরা নিরঞ্জণ মল্লিকের বাড়ি থেকে বিনয় হালদারের বাড়ি প্রর্যন্ত রাস্তা নির্মান কাজে ৪০ জন শ্রমিকের স্থলে কর্ম স্থানে মাত্র ৬ জন শ্রমিক সমু হালদার, নিমাই হালদার, অতুল মল্লিক, তমাল মল্লিক, পংকজ মল্লিক, সুমন মল্লিককে কাজ করতে দেখা যায়।
কালুরপাড় দূর্গা মন্দিরের মাঠ ভরাটের কাজ দেখতে গেলে সেখানে কোন কাজ কর্মের নজিরা দেখা যায়নি। এব্যাপারে ওই মন্দিরের সাধারন সম্পাদক জয়ন্ত হাজরা (লিমন) এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান আমাদের এ মন্দিরে ৪০ দিনের কর্মসূচির কাজের তালিক্য়া থাকলেও কর্তৃপক্ষের কর্মের কোন ছোয়া এখনো পর্যন্ত লাগেনি। অথচ প্রকল্পটি তালিকার ৩০ নম্বরে রয়েছে। এলাকার জনসাধারন জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঠিক তদারকি না থাকায় জনপ্রতিনিধিরা এসব প্রকল্পে ব্যপক অনিয়ম করে যাচ্ছে। এতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নজরদারি না থাকায় রহস্য রয়েছে বলেও সাধারন মানুষ মনে করছে।