দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৬ মে : রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হক বলেছেন,স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি যেমন দেশের স্বাধীনতাকে ঠেকাতে পারেনি-তেমনি বিএনপি-জামায়াত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন কর্মকান্ডকে ব্যাহত করতে পারবে না।তিনি শনিবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৩৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জোটের সাধারণ সম্পাদক ফাল্গুনী হামিদ, জোটের মুখপাত্র হাবিবুর রহমান হাবিব, সহ-সভাপতি ড্যানি সিডার ও দিলারা ইয়াসমিন।মুজিবুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়ন করেন আর বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সে উন্নয়নকে ধ্বংস করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদেশ থেকে রেলের ইঞ্জিন আর বগি আনেন আর বেগম খালেদা জিয়া সেগুলো আগুনে পুড়িয়ে দেন।তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গড়েন আর খালেদা জিয়া তা ধ্বংস করেন। তাই আগামী জাতীয় নির্বাচনেও দেশের মানুষ বেগম খালেদা জিয়াকে প্রত্যাখ্যান করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নির্বাচিত করবেন।মুজিবুল হক বলেন, ১৯৮১ সালের ১৭ মে বাঙালি জাতির ইতিহাসে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন। এ দিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা দেশে ফিরে এসেছিলেন।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বশূন্য জাতির দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন এবং আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ করে তিনবার সরকার গঠন করেছেন। তিনি আওয়ামী লীগের ঐক্যের প্রতীক।মুজিবুল হক আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাংগঠনিক শক্তি এবং প্রজ্ঞার জন্যই বিএনপি-জামায়াতের মৌলবাদী, সন্ত্রাসী ও দুর্নীতিবাজরা সফলকাম হয় নি। তিনি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত মধ্যম আয়ের দেশ প্রতিষ্ঠা করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের সুনাম পুন:প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বে ভারত ও মায়ানমারের সাথে সমুদ্রসীমা জয়, ভারতের সাথে সীমান্ত চুক্তি স্বাক্ষর, একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার, বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের বিচার সম্ভব হয়েছে।আলোচনা সভা শেষে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের ছবি সম্বলিত ফেস্টুন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তনয় সজীব ওয়াজেদ জয় এবং তনয়া সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের ছবি সম্বলিত ফেস্টুন বহন করা হয় ।শোভাযাত্রাটি বঙ্গবন্ধু এভিনিউ থেকে শুরু হয় এবং তা জিপিও, মুক্তাঙ্গন ও পুরানা পল্টন মোড় হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়।