image_127052_0

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৬ মে: বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ-এর বিক্ষোভ-সমাবেশে কমরেড খালেকুজ্জামান বলেছেন, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য জনগণ বারে বারে রক্ত দিয়েছে, জীবন দিয়েছে। জনগণের ভোটাধিকার সরকার আবারও কেড়ে নিয়েছে। ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতেই সরকার সিটি নির্বাচনকে কলঙ্কিত করেছে। ভোটাধিকার হরণের মাধ্যমে জনগণের মৌলিক গণতান্ত্রিক অধিকারকে পদদলিত করা হয়েছে। রক্ত দিয়ে, জীবন দিয়ে হলেও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার করতে হবে। ভোটাধিকার হরণ ও প্রহসনের নির্বাচনের প্রতিবাদে এবং নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে সিপিবি-বাসদ-এর দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে কমরেড খালেকুজ্জামান সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন সিপিবি’র প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন, বাসদ-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলুর রশীদ ফিরোজ, সিপিবি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাসদ-এর কেন্দ্রীয় কমিটির রাজেকুজ্জামান রতন। সমাবেশটি পরিচালনা করেন সিপিবি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ঢাকা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডা. সাজেদুল হক রুবেল।

কমরেড খালেকুজ্জামান আরো বলেন, দুর্র্নীতি, দখল ও দলীয়করণ করে সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে ভোট বিতরণের কমিশনে পরিণত করা হয়েছে। বর্তমান নির্বাচনী ব্যবস্থায় সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন যে সম্ভব নয় সেটা আবারও প্রমাণিত হয়েছে। সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপক্ষে, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য নির্বাচনে কালো টাকা, পেশিশক্তি, প্রশাসনিক কারসাজি, ধর্মের ব্যবহার বন্ধ এবং নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন করতে হবে। জনগণের সাথে সরকার যে তামাশা করছে, জনগণ তার সমুচিত জবাব দেবে।

অন্য বক্তারা বলেন, গণতন্ত্রহীনতা মৌলবাদ, অরাজকতাকে বাড়িয়ে দেয়। বিচারহীনতার ধারায় এখন দেশ চলছে। সরকার ক্রমশ পুলিশের ওপর নির্ভরশীল হয়ে উঠছে। দেশ ক্রমেই পুলিশে রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে। লুটপাটতন্ত্র, পরিবারতন্ত্র ও স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে জনগণের সংগ্রামকে এগিয়ে নিতে হবে। ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে জন্য জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সিপিবি-বাসদ জনগণের সেই আন্দোলনে সব সময় সামনের কাতারে থাকতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান, ছাত্র ইউনিয়নের কর্মসূচিসহ বিভিন্ন স্থানে নারী নিপীড়নের ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের এবং লেখক অনন্ত বিজয় দাশের খুনীদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করেন।সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল ঢাকার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুরানা পল্টনে এসে শেষ হয়।