দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৬ মে: জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে অকার্যকর উল্লেখ করে কমিশনকে পুনর্গঠনের দাবি জানিয়ে বিএনপি বলেছে, মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা খতিয়ে দেখতে দক্ষ, নিরপেক্ষ এবং দলকানা নয় এমন লোক দিয়ে স্থায়ী টাস্কফোর্স গঠন করুন।শনিবার বিকালে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন এ দাবি জানান। ড. আসাদুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ। দেশের বাইরে গণমাধ্যমগুলোতে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে উঠে এসেছে। উচ্চ আদালত যেভাবে টাস্কফোর্স গঠন করতে বলেছেন, আমরা অবিলম্বে সেভাবেই টাস্কফোর্স গঠনের দাবি জানাচ্ছি।তিনি বলেন, সরকারকে বলব- দলবাজ লোকদের না নিয়ে যারা মানবাধিকার বিষয় নিয়ে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছেন তাদের দিয়ে টাস্কফোর্স গঠন করলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে।জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের সমালোচনা করে রিপন বলেন, সব ব্যর্থতার দায়-দায়িত্ব নিয়ে মানবাধিকার কমিশন থেকে অবিলম্বে পদত্যাগ করুন। এটা আপনার জন্য সম্মানজনক, আপনি একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক।
অভিবাসী সংকট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রতিনিয়ত অভিবাসনের বিষয়টা প্রকট আকার ধারণ করছে। বাংলাদেশে কর্মসংস্থানের পর্যাপ্ত সুযোগ না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লোকজন সাগর পাড়ি দিচ্ছে। সরকারের উচিত একটি প্রকল্প হাতে নিয়ে বেকারদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা।ড. আসাদুজ্জামান বলেন,আমাদের দলের মধ্যে অনেক অভিজ্ঞ মন্ত্রী আছেন। অভিবাসন সমস্যায় সরকার চাইলে বিএনপি সহযোগিতা করতে পারে। এই সমস্যা মোকাবেলায় সরকারকে সহযোগিতা করতে আমরা প্রস্তুত।সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, সরকারের এ বিষয়ে আগেই পদক্ষেপ নেয়া উচিত ছিল। যে দেশগুলোতে আমাদের এই লোকগুলো যাচ্ছে- ওখানে আমাদের দূতাবাসের ভূমিকা কী? যাদের নিয়ে জিডিপি ও রিজার্ভ দেখান তাদের বিষয়টাকে গুরুত্ব দেন।সালাহ উদ্দিন আহমেদের সর্বশেষ পরিস্থিতি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রিপন বলেন, তার সম্পর্কে আমাদের কাছে সর্বশেষ কোন তথ্য নেই। দেশী বিদেশি মিডিয়ায় তার সম্পর্কে যা প্রকাশিত হচ্ছে তার উপরই নির্ভর করছি।দলের সহ দফতর সম্পাদক জনি সেখানে আছেন। তার বরাত দিয়ে মিডিয়ায় খবর প্রকাশিত হয়েছে। তার স্ত্রী হাসিনা আহমেদ এখনো ভিসা পাননি। তিনি ভিসা পেয়ে সেখানে না যাওয়া পর্যন্ত সালাহ উদ্দিনের প্রকৃত অবস্থা জানানো সম্ভব হবে না।সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক লে.কর্নেল (অব.) এম এ লতিফ খান, সহ দফতর সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, আসাদুল করিম শাহীন, নির্বাহী কমিটির সদস্য ফোরকান আলী, যুবদলের সিনিয়র সহ সভাপতি এ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ।