দৈনিকবার্তা-নেপাল, ১৬ মে: নেপালে ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। শনিবার স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ১৯ মিনিটে রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প সংঘটিত হয়। নেপালের ন্যাশনাল সিসমোলজিক্যাল সেন্টার জানিয়েছে, ভূমিকম্পটি উৎপত্তিস্থল ছিল দোলাখা। এতে হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি।তবে যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস) বলছে, ভূমিকম্পটি ৫ দশমিক ৭ মাত্রার। আর এটির উৎপত্তিস্থল ছিল রামেছাপের ২৪ কিলোমিটার উত্তরে, পানাওতির ৫৫ কিলোমিটার পূর্বে এবং রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে ৭৬ কিলোমিটার পূর্ব দক্ষিণ-পূর্ব দূরে।এর আগে সর্বশেষ গত ১২ মে ভয়াবহ ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে প্রকম্পিত হয় নেপাল, ভারত ও বাংলাদেশ। বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টা ৫ মিনিটে রিখটার স্কেলে ৭.৩ মাত্রার এ ভূমিকম্প আঘাত হানে। উৎসের নিকটবর্তী স্থান কোদারি, নেপাল। কোদারি থেকে মাত্র ১৮ কিলোমিটার দূরবর্তী সর্বশেষ ভূমিকম্পের উৎস।
৭.৩ মাত্রার ভূমিকম্পের প্রায় পাঁচ মিনিট পর ৭.১ মাত্রার আরও একটি ভূমিকম্প হয়েছে। আরও ৩০ মিনিট পর ৬.৯ মাত্রার আরও একটি কম্পন অনুভূত হয়। এপির সূত্র অনুযায়ী, ভূমিকম্পে ৩৬ জন নিহত হয়েছেন। বিহারে ১৬ জন নিহত হয়েছেন। বাংলাদেশে ১ জন। কলকাতা খুবেই সন্ত্রস্ত সময় অতিক্রম করছে। চিনে ১ জনের নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।এর আগে ২ মে নেপালে ভূমিকম্প আঘাত হানে। রিখটার স্কেলের ৫ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্পটিতে কোনো ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানা যায়নি।নেপালে ভয়াবহতম ভূমিকম্পটি আঘাত হানে গত ২৫ এপ্রিল। প্রথম দফায় ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। পরের দিন দিন ৬ দশমিক ২ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। এ ঘটনায় দেশটিতে ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত দেশটিতে ৬ হাজার ৬শ মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া ভূমিকম্পে ৮০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত এবং ২০ লাখ মানুষ উদ্বাস্তুতে পরিণত হয়েছে দেশটির সরকার।এরপর থেকেই ছোটখাটো ভূমিকম্প হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা একে আফটার শক বলছেন।