দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৩ মে: প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান বাংলাদেশ-ভারত নৌ প্রটোকল সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে দু’দেশের মধ্যে বহুমাত্রিক ট্রানজিট ব্যবস্থা চালু এবং কার্যকর বাণিজ্যিক সহযোগিতার সম্পর্ক গড়েতোলার ওপর গুরুত্বারোপকরেছেন।তিনি বলেন,বাংলাদেশ-ভারত নৌ প্রটোকল ব্যবহারের সুযোগ কাজে লাগাতে উভয়পক্ষকে প্রধানত তিনটি কাজ করতে হবে। বহুমাত্রিক ট্রানজিট ব্যবস্থা চালু, ট্যারিফ ও প্যারা ট্যারিফ সংক্রান্ত বাঁধাসমূহ দূর করতে নীতিমালা সংস্কার এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে দু’দেশের সহযোগিতার সম্পর্ক আরো শক্তিশালী করতে হবে।
বুধবার রাজধানীর মতিঝিলে চেম্বার ভবনে ‘বাংলাদেশ-ভারত নৌ প্রটোকল ও বাণিজ্য : প্রতিবন্ধকতা ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) এবং ভারতীয় দূতাবাস যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে।এমসিসিআই সভাপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ভারতীয় হাইকমিশনার পংকজ শরণ, বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমোডর মোজাম্মেল হক, সাবেক বাণিজ্য সচিব সুহেল আহমেদ চৌধুরী, সাইফুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সেমিনারে বিআইডব্লিউটিএ সাবেক সচিব সৈয়দ মনোয়ার হোসেন ও শিপরাইটস্ রিসোর্চ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব আহমেদ দু’টি পৃথক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।ড. মশিউর বলেন, কম সময় ও কম খরচে পণ্য পরিবহনের জন্য দু’দেশের অভ্যন্তরে পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল একটি ভাল মাধ্যম হতে পারে। এ নিয়ে দু’দেশ কাজ করছে বলে তিনি জানান।উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে রেল ও নৌপথ দীর্ঘদিন অবহেলিত ছিলো। গত কয়েকবছর এই দুই যোগাযোগ খাতের অবকাঠামো নির্মাণে সরকার নজর দিচ্ছে। তিনি বলেন, নৌ অবকাঠামো খাতে দু’দেশ যৌথভাবে বিনিয়োগ করতে পারে। এতে উভয়ে লাভবান হবে।
নৌ প্রটোকলেরও আওতায় মাশুল আরোপের বিষয়টি দু’দেশের মধ্যে গঠিত জয়েন্ট টেকনিক্যাল কমিটি নির্ধারণ করবে বলে তিনি জানান।ভারতীয় হাইকমিশনার পংকজ সরণ বলেন, সব সময় জাহাজ চলাচলের জন্য পানির গভীরতা নিশ্চিত করতে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে এবং আঞ্চলিক আইডিএ’র সহায়তায় কাজ করা যেতে পারে। ভারত এ ধরনের প্রস্তাব নিয়ে কাজ করছে।তিনি জানান, দু’দেশের জয়েন্ট টেকনিক্যাল কমিটির প্রস্তাবিত ৫২ লাখ কিউবিক মিটার ড্রেজিংয়ের বিষয়টি যাচাই সাপেক্ষে বিশ্ব ব্যাংকের আইডিএ অর্থায়নে করতে ভারত যৌথ প্রস্তাব তৈরির প্রস্তাবনা পেশ করেছে বাংলাদেশের কাছে।১৯৭২ সালে স্বাক্ষরিত নৌ প্রটোকলে দু’দেশের মধ্যে নয়টি পথ (আসা-যাওয়া) রয়েছে।