দৈনিকবার্তা-নীলফামারী, ১৩ মে ২০১৫: নীলফামারীর ডিমলা ইসলামাীয়া ডিগ্রী কলেজে পরীক্ষা চলাকালীন কক্ষ থেকে দুই ছাত্রকে বের করে দেওয়ার প্রতিবাদে সকল পরীক্ষা বর্জন করে সড়ক অবরোধ করেছে কলেজটির পরীক্ষার্থীরা। বুধবার সকাল ১০টায় কলেজের শিক্ষার্থীরা মনোবিজ্ঞান পরীক্ষা বর্জণ করে অভিযুক্ত শিক্ষককের বিচার দাবি করে কলেজের প্রধান ফটক অবরোধ করে রাখে। আন্দোলনরত পরীক্ষার্থীরা অভিযোগ করে জানান, সম্প্রতি কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষে চুড়ান্ত পরীক্ষা শুরু হয়েছে। গত ১১ মে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে পরীক্ষা চলাকালে পরীক্ষার ফি জমা না দেওয়ার অভিযোগে জীবন কুমার রায় ও ইব্রাহিম কামাল রনি নামে দুই পরীক্ষার্থীকে অপমান করে পরীক্ষা কক্ষ থেকে বের করে দেন ওই কক্ষে দায়িত্বরত ইংরেজী বিভাগের প্রভাষক জহুরুল ইসলাম। ফলে ওই দুই পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় দিতে না পারায় তারা দ্বিতীয় বর্ষে উর্ত্তীণ হতে পারবেন না। এতে ওই দুই শিক্ষার্থীর মুল্যবান একটি বছর পিছেয়ে পড়বে। তাই ওই দুই ছাত্রকে পুনরায় পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের সুযোগসহ ও অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে বুধবার থেকে কলেজের সকল পরীক্ষা ও ক্লাস বর্জন কর্মসূচি ঘোষনা করে শিক্ষার্থীরা। বুধবার সকালে মনোবিজ্ঞান পরীক্ষা বর্জন করে প্রধান ফটকের সামনে ১ ঘন্টা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করে।
এসময় বক্তব্য রাখেন প্রথম বর্ষের ছাত্র মাহমুদার রহমান রাকিব, উদয় সরকার, ইব্রাহিম কামাল রনি, নাগর রায়, মহিম ইসলাম, শাকিল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আল, বেলাল হোসেনসহ অনেকে। বক্তারা ওই প্রভাষকের বিচার ও শাস্তিসহ অপসারণের দাবি তুলে বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কলেজের সকল পরীক্ষা ও ক্লাশ বর্জন চলবে।এ ব্যাপারে প্রভাষক জহুরুল ইসলামের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি কলেজের বাইরে আছি। কলেজ কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে ওই ছাত্রকে কক্ষ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে আপনারা অধ্যক্ষ মহাদয়ের সাথে কথা বলুন।ডিমলা ইসলামিয়া ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাসিম হায়দার অপু শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা বর্জন ও অবরোধ করার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শিক্ষককের সাথে শিক্ষার্থীদের সামান্য ভূল বুঝাবুঝি হয়েছে। এ বিষয়য়ে আগামী ১৯ মে কলেজের জরুরী সভার আহবান করা হয়েছে। এতে শিক্ষাক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত থাকবেন। সেখানে বিষয়টি নিষ্পতি করা হবে।