দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৩ মে: আবেদনের নিয়ম এবার পাল্টে গেছে আবেদন প্রক্রিয়া। বিগত বছরে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ দরখাস্ত পাঠাতে হলেও এবার সরাসরি, ডাকযোগে, কুরিয়ার সার্ভিস বা অন্য মাধ্যমে আবেদন গ্রহণ করা হবে না। আবেদন করা যাবে কেবল অনলাইনে। bkb.teletalk.com.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে যে পদে আবেদন করতে ইচ্ছুক, প্রথমে তা নির্বাচন করতে হবে। পরের ধাপে সতর্কতার সঙ্গে আবেদনপত্রে প্রয়োজনীয় তথ্যের ঘর পূরণ করতে হবে। অভিজ্ঞতা, টাইপিং স্পিড, কম্পিউটার জ্ঞান থাকলে টিক চিহ্ন দিয়ে উল্লেখ করতে হবে নির্ধারিত ঘরে। সঠিকভাবে আবেদন ফরম পূরণের পর তৃতীয় ধাপে প্রার্থীর স্ক্যান করা স্বাক্ষর ও রঙিন ছবি জেপিজি ফরম্যাটে আপলোড করতে হবে। স্বাক্ষরের আকার হতে হবে ৩০০ বাই ৮০ পিক্সেল, ছবির আকার ৩০০ বাই ৩০০ পিক্সেল। ছবির সাইজ ১০০ কিলোবাইট এবং স্বাক্ষরের সাইজ ৬০ কিলোবাইটের বেশি হওয়া যাবে না। আবেদনপত্র সাবমিটের পর Applicant’s copy ডাউনলোড করতে হবে। সংরক্ষণ করতে হবে প্রাপ্ত User ID। অনলাইনে আবেদনের ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই টেলিটকের মাধ্যমে আবেদন ফি জমা দিতে হবে। ডাটা এন্ট্রি/কন্ট্রোল অপারেটর পদে ২৫০ টাকা, অন্যান্য সব পদে আবেদন ফি ৩৫০ টাকা। প্রথমে BKB<space>User ID লিখে পাঠাতে হবে 16222 নম্বরে। ফিরতি এসএমএসে প্রাপ্ত PIN সহ BKB<space>Yes<Space>PIN লিখে পুনরায় 16222 নম্বরে দ্বিতীয় এসএমএস পাঠাতে হবে। ব্যালেন্স থেকে আবেদন ফির সমপরিমাণ টাকা কেটে পরবর্তী এসএমএসে পরীক্ষার প্রবেশপত্র সম্পর্কিত তথ্য জানানো হবে। রোল নম্বরসংবলিত প্রবেশপত্র ডাউনলোড এবং প্রিন্ট করে সংরক্ষণ করতে হবে। একজন প্রার্থী একাধিক পদে আবেদন করতে পারবেন। তবে প্রত্যেক পদে আবেদন করতে হবে আলাদাভাবে।
সিনিয়র অফিসার পদে ১৭২ জন, অফিসার পদে ৭০৪ জন, অফিসার ক্যাশ পদে ২৪৯ জন, প্রোগ্রামার পদে ৩ জন, অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রোগ্রামার পদে ৭ জন, সহকারী প্রকৌশলী সিভিল পদে ১০ জন, সহকারী প্রকৌশলী ইলেকট্রিক্যাল পদে ১ জন, কম্পিউটার অপারেটর পদে ৩ জন এবং ডাটা এন্ট্রি বা কন্ট্রোল অপারেটর পদে ২৪ জনসহ মোট ১১৭৩ জন কর্মকর্তা নিয়োগ দেবে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক।
আবেদনের যোগ্যতা: কৃষি ব্যাংকের উপমহাব্যবস্থাপক এ বি এম আমিনুল হক জানান, প্রোগ্রামার ও অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রোগ্রামার পদে আবেদনকারীর কম্পিউটার, পদার্থবিজ্ঞান, ফলিত পদার্থবিজ্ঞান, ইলেকট্রনিকসে চার বছরের স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অথবা ইলেকট্রিক্যাল বা কম্পিউটার প্রকৌশলে স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে। সহকারী প্রকৌশলী সিভিল ও ইলেকট্রিক্যাল পদে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশল বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে। সিনিয়র অফিসার পদে থাকতে হবে চার বছরমেয়াদি স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি। স্নাতক ডিগ্রি থাকলে অফিসার এবং অফিসার ক্যাশ পদের জন্য আবেদন করা যাবে। কম্পিউটার অপারেটর পদে থাকতে হবে বিজ্ঞান বা কম্পিউটারে স্নাতক ডিগ্রি। উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা আবেদন করতে পারবেন ডাটা এন্ট্রি/কন্ট্রোল অপারেটর পদে।
কোনো তৃতীয় বিভাগ বা শ্রেণি থাকা চলবে না। এসএসসি ও এইচএসসির ক্ষেত্রে জিপিএ ৩ বা তদূর্ধ্ব প্রথম বিভাগ, জিপিএ ২ থেকে ৩-এর কম দ্বিতীয় এবং জিপিএ ১ থেকে ২-এর কম হলে ধরা হবে তৃতীয় বিভাগ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে ৪ পয়েন্ট স্কেলে সিজিপিএ ৩ বা তদূর্ধ্ব প্রথম বিভাগ বা শ্রেণি, ২.২৫ বা তদূর্ধ্ব কিন্তু ৩-এর কম দ্বিতীয়, ১.৬৫ বা তদূর্ধ্ব কিন্তু ২.২৫-এর কম তৃতীয় বিভাগ বা শ্রেণি ধরা হবে। ৫ পয়েন্ট স্কেলে ৩.৭৫ বা তদূর্ধ্ব প্রথম, ২.৮১৩ বা তদূর্ধ্ব কিন্তু ৩.৭৫-এর কম দ্বিতীয় এবং ২.০৬৩ বা তদূর্ধ্ব কিন্তু ২.৮১৩-এর কম হলে ধরা হবে তৃতীয় বিভাগ বা শ্রেণি। সহকারী প্রকৌশলী, সিনিয়র অফিসার, অফিসার ও অফিসার ক্যাশ পদে প্রার্থীদের কম্পিউটার জ্ঞান থাকতে হবে। প্রোগ্রামার পদের জন্য স্বীকৃত কম্পিউটার সোসাইটির সহযোগী সদস্য হতে হবে। ৩০ এপ্রিল তারিখে আবেদনকারীর সর্বোচ্চ বয়স প্রোগ্রামার পদে ৩৫ বছর, বাকি সব পদে ১৮ থেকে ৩০ বছর। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৩২ বছর।
পরীক্ষা পদ্ধতি: বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের মিরপুর শাখার সিনিয়র অফিসার মাসুদ রেজা জানান, বিগত বছরগুলোতে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে দুই বা তিন ধাপে। সাধারণত প্রথমে ১০০ নম্বরের এমসিকিউ নেওয়া হয়। প্রাথমিক বাছাইয়ের পর ১০০ বা ২০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা হয়। এরপর মৌখিক পরীক্ষা। তবে এমসিকিউ এবং লিখিত পরীক্ষা একসঙ্গেও হতে পারে। বাংলা, ইংরেজি, গণিত, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি, সাধারণ জ্ঞান, মানসিক দক্ষতা ইত্যাদি বিষয়ে প্রশ্ন হয়। এমসিকিউ পরীক্ষার সময় এক ঘণ্টা এবং লিখিত পরীক্ষার সময় এক বা দুই ঘণ্টা হয়ে থাকে। প্রশ্নের মানবণ্টন নির্দিষ্ট নয়। ২০১২ সালের নিয়োগ পরীক্ষায় বাংলা ৭টি, ইংরেজি ১০টি, গণিত ২০টি, সাধারণ জ্ঞান ৩০টি, অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি অংশে ৩৩টি বহুনির্বাচনী প্রশ্ন ছিল। লিখিত অংশে ১০০ নম্বরের জন্য ছিল বাংলা অংশে ৪০, ইংরেজি ৪০ ও গণিতে ২০ নম্বরের প্রশ্ন। কৃষি ব্যাংকের উপমহাব্যবস্থাপক এ বি এম আমিনুল হক জানান, এবারের পরীক্ষায় সিনিয়র অফিসার পদে ১০০ নম্বরের বহুনির্বাচনী ও ১০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে। প্রোগ্রামার, অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রোগ্রামার, সহকারী প্রকৌশলী পদে ২০০ নম্বরের প্রফেশনাল বা লিখিত পরীক্ষা হবে। পদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিসিএসের আদলে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করা হবে। অফিসার, কম্পিউটার অপারেটর ও ডাটা এন্ট্রি বা কন্ট্রোল অপারেটর পদে ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় থাকতে পারে ৫০ নম্বরের লিখিত এবং ৫০ নম্বরের বহুনির্বাচনী প্রশ্ন। ব্যাংকের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করে থাকে সাধারণত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট (আইবিএ), ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ, বাংলদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) বা এ ধরনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এবার নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন-আইবিএকে।
জানতে হবে বাংলা ভাষা সাহিত্য: কৃষি ব্যাংক মুন্সীগঞ্জ শাখার সিনিয়র অফিসার জাহিদুল ইসলাম জানান, বাংলা বিষয়ে ব্যাকরণ ও সাহিত্য থেকে প্রশ্ন হয়। ব্যাকরণ অংশে থাকে ভাষা, বর্ণ, শব্দ, বাক্য, সন্ধি, লিঙ্গ, বচন, বানান শুদ্ধি, কারক ও বিভক্তি, সমাস, পদ, বাগধারা, প্রকৃতি-প্রত্যয়, এককথায় প্রকাশ, অনুবাদ, পারিভাষিক শব্দ, সমার্থক ও বিপরীতার্থক শব্দ ইত্যাদি। সাহিত্য অংশে থাকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের উৎপত্তি এবং বিকাশ, বিখ্যাত কবি-সাহিত্যিকদের জীবনী ও সাহিত্যকর্ম। বিখ্যাত সাহিত্যের চরিত্র, উক্তি, ঘটনা থেকে প্রশ্ন হতে পারে। বিগত বছরের প্রশ্ন বিশ্লেষণে দেখা যায়, বেশির ভাগ পরীক্ষায় বিখ্যাত সাহিত্যিকদের সাহিত্যকর্ম, সমার্থক বা প্রতিশব্দ থেকে বেশি প্রশ্ন এসেছে। লিখিত পরীক্ষায় ইংরেজি থেকে বাংলা অনুবাদ ও রচনা লিখতে হয়। সাম্প্রতিক, সমস্যা ও সমাধান এবং কৃষির সঙ্গে সম্পর্কিত রচনা বেশি আসে। ‘স্বদেশপ্রেম’, ‘পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বনায়নের ভূমিকা’, ‘বাংলাদেশে কৃষির বাজারজাতকরণ’ এ ধরনের রচনা থাকে। থাকতে পারে ভাবসম্প্রসারণ।
ইংরেজি গ্রামারে দখল থাকা চাই: বহুনির্বাচনী অংশে বরাবরই Find out which underlined part of the following sentences has an error এ ধরনের ২ থেকে ৫টি প্রশ্ন আসে। প্রশ্নে উল্লিখিত বাক্যে ভুল খুজেঁ বের করার জন্য গ্রামারের জঁষবং ভালোভাবে জানতে হবে। Synonym, Antonym, Right Form of Verbs, Correction থেকে প্রশ্ন থাকে। Parts of Speech, Voice, Narration, Tense, Number, Gender, Phrase and Idioms, Person, Analogy -ও দেখতে হবে। Short Passage থেকেও প্রশ্ন থাকতে পারে। দেখে যেতে হবে বিখ্যাত ইংরেজি সাহিত্য, সাহিত্যিকদের জীবনী ও কর্ম।লিখিত পরীক্ষায় একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে Short Essay, Paragraph লিখতে হয়। থাকতে পারে Summary/Precis Writing । একটি চধংংধমব দেওয়া থাকবে এবং তার Summary লিখতে হবে, দিতে হবে উপযুক্ত Title। Summary লেখার সময় সংক্ষেপে কয়েক লাইনে ফুটিয়ে তুলতে হবে মূল বিষয়।
গণিতের জন্য বারবার চর্চা: কৃষি ব্যাংক রাজবাড়ী শাখার সিনিয়র অফিসার নাহিদ কামাল জানান, অনেকের গণিতভীতি কাজ করে। তবে নিয়মিত অনুশীলন করলে সবচেয়ে বেশি নম্বর পাওয়া যায় এ বিষয়েই। সাধারণত পাটিগণিত, বীজগণিত ও জ্যামিতি এই তিনটি অংশ থেকে গণিতের প্রশ্ন করা হয়। তবে পাটিগণিত থেকে প্রশ্ন থাকে বেশি। লিখিত এবং এমসিকিউ উভয় অংশে গণিতের সাধারণ সমস্যাবলি, লসাগু, গসাগু, ভগ্নাংশ, ঐকিক নিয়ম, অনুপাত-সমানুপাত, অংশীদারি কারবার, লাভ-ক্ষতি, সুদকষা, শতকরা, ক্ষেত্রফল ও পরিমাপ, পরিমিতি, গড় ইত্যাদি থেকে প্রশ্ন আসে। বর্গ, সরল, মান নির্ণয় এবং জ্যামিতির সূত্র ও সংজ্ঞাগুলো পড়তে হবে। অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটির প্রশ্ন আসতে পারে। বুদ্ধিমত্তা ও বিশ্লেষণী ক্ষমতার প্রয়োগ করে উত্তর দিতে হবে এতে। ভালো করতে হলে নিয়মিত অনুশীলন করতে হবে। দ্রুত সমাধানের জন্য জানতে হবে শর্টকাট টেকনিক।
সাধারণ জ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি: সাধারণ জ্ঞানে ২০ থেকে ৩০টি প্রশ্ন আসে। বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি ও সাম্প্রতিক থেকে প্রশ্ন থাকবে। বাংলাদেশ বিষয়াবলির মধ্যে বাংলাদেশের ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ, জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, সংবিধান, নদ-নদী, জনসংখ্যা, কৃষি, খাদ্য, ফসল, ব্যাংকিং, অর্থ-বাণিজ্য ইত্যাদি পড়তে হবে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে পড়তে হবে আন্তর্জাতিক সংস্থা পরিচিতি, বিভিন্ন দেশের অবস্থান, আন্তর্জাতিক দিবস, খেলাধুলা, পুরস্কার। কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি অংশে কম্পিউটার সম্পর্কিত বেশি প্রশ্ন হয়। এ ছাড়া দৈনন্দিন বিজ্ঞান থেকেও কিছু প্রশ্ন থাকে। বিজ্ঞানের বিষয়াবলি যেমন-ভিটামিন, রক্তের গ্রুপ, বিভিন্ন রোগব্যাধি, আবিষ্কার জানতে হবে। নিয়মিত পত্রিকা পড়তে হবে, শুনতে হবে রেডিও ও টেলিভিশনের খবর। নবম-দশম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান ও কম্পিউটার বই বেশ সহায়ক হবে।
ব্যবহারিক পরীক্ষা: অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রোগ্রামার, কম্পিউটার অপারেটর ও ডাটা এন্ট্রি বা কন্ট্রোল অপারেটর পদে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সামনে অংশ নিতে হবে স্ট্যান্টার্ড অ্যাপটিচ্যুড টেস্ট বা ব্যবহারিক পরীক্ষায়। অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রোগ্রামার পদে প্রোগ্রামিং এবং কম্পিউটার অপারেটর ও ডাটা এন্ট্রি বা কন্ট্রোল অপারেটর পদে প্রার্থীদের ডাটা এন্ট্রি অপারেশনে নিজেদের দক্ষতা প্রমাণ করতে হবে।
মৌখিক পরীক্ষা: এমসিকিউ, লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর জমা দিতে হবে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। যাচাই-বাছাইয়ের পর উপযুক্ত প্রার্থীদের ডাকা হবে মৌখিক পরীক্ষায়। সাম্প্রতিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, প্রার্থী যে বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন সে বিষয়ে এবং পদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রশ্ন করা হতে পারে ভাইভা বোর্ডে। দেখা হবে প্রার্থীর বিশ্লেষণী ক্ষমতা, দক্ষতা, উপস্থাপনা, মার্জিত পোশাক ও স্মার্টনেস।
সহায়ক বই: বাংলা, গণিত ও ইংরেজির জন্য নবম-দশম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্য বই আয়ত্তে রাখতে হবে। প্রফেশনাল পরীক্ষার জন্য দেখতে হবে স্নাতক পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট বিষয়ভিত্তিক বই। কৃষি ব্যাংকের মিরপুর শাখার সিনিয়র অফিসার তানজিমা আজাদ জানান, বাংলা ব্যাকরণ অংশের জন্য নবম-দশম শ্রেণির বাংলা ব্যাকরণ পুরো পড়ে ফেললে ভালো হয়। গণিতে ভালো করার জন্য অনুশীলন করতে হবে ষষ্ঠ থেকে নবম-দশম শ্রেণির গণিত বই। সাধারণ জ্ঞানের জন্য আজকের বিশ্ব, এমপিথ্রি, নতুন বিশ্বের পাশাপাশি দেখতে হবে সাম্প্রতিক তথ্যভিত্তিক মাসিক পত্রিকা। ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষার জন্য ওরাকল, প্রফেসরস, এমপিথ্রি, বিসিএস, অ্যাসিওরেন্স প্রভৃতি পাবলিকেশন্স ব্যাংক নিয়োগ গাইড বের করে থাকে। প্রফেসরস, ওরাকল, বিসিএসসহ বিভিন্ন প্রকাশনীর ব্যাংক জব সল্যুশন পাওয়া যায় বাজারে। এসব বই থেকে বিগত বছরের প্রশ্ন সমাধান করলে কাজে দেবে।
* সাধারণত প্রথমে ১০০ নম্বরের এমসিকিউ নেওয়া হয়। প্রাথমিক বাছাইয়ের পর ১০০ বা ২০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা হয়
* এমসিকিউ, লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর জমা দিতে হবে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
* নবম-দশম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্য বই আয়ত্তে রাখতে হবে। প্রফেশনাল পরীক্ষার জন্য দেখতে হবে স্নাতক পর্যায়ের বই