দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১২ মে: বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন আহমেদ কিভাবে ভারত গেলেন তা খতিয়ে দেখবে পুলিশ।এ বিষয়ে তদন্তের পর জানা যাবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক একেএম শহীদুল হক। মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ সদর দফতরে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে এ মন্তব্য করেন তিনি।তিনি বলেন, সালাহ উদ্দিনের সাথে তার স্ত্রী হাসিনা আহেমেদের কথপোকথনের মাধ্যমে এটা পরিষ্কার যে বিএনপির এই নেতাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অপহরণ করেনি।শহীদুল হক বলেন, নিখোঁজ হবার পর থেকেই তার সন্ধান করছিল পুলিশ। বিএনপির এই নেতার বিরুদ্ধে নাশকতার কয়েকটি মামলা আছে। মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করেছে আদালত।
এর আগে দুপুর পৌনে ৩টার দিকে গুলশান-২ এর ৭৭ নম্বর রোডের ৭ নম্বর বাসার সামনে হাসিনা আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ভারতের মেঘালয়ের একটি মানসিক হাসপাতালে আছেন সালাহ উদ্দিন। তিনি সুস্থ আছেন।গত ১০ মার্চ রাতে উত্তরার একটি বাসা থেকে নিখোঁজ হন সালাহ উদ্দিন আহমেদ। এরপর তার স্ত্রী হাসিনা আহমেদ অভিযোগ করেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তার স্বামীকে ওই বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।ভারতের মেঘালয় রাজ্যের একটি মানসিক হাসপাতালে আছেন দুই মাসের বেশি সময় ধরে নিখোঁজ থাকা বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ। মঙ্গলবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে সালাহ উদ্দিনের স্ত্রী হাসিনা আহমেদ এই তথ্য জানান।গুলশানে নিজের বাসার নিচতলায় সংবাদ সম্মেলনে হাসিনা আহমেদ বলেন, আজ সকালে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের মেঘালয় ইনস্টিটিউট অব মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁকে ফোন দিয়ে জানায়, সালাহ উদ্দিন তাঁদের হাসপাতালে আছেন। পরে সালাহ উদ্দিন টেলিফোনে স্ত্রীকে বলেন, আল্লাহর রহমতে তিনি বেঁচে আছেন। মেঘালয়ের গলফ গ্রিন এলাকায় ঘোরাফেরার সময় সালাহ উদ্দিনকে পুলিশ আটক করে। প্রথমে তাঁর কথা শুনে পুলিশের মনে হয়েছে, তিনি অপ্রকৃতিস্থ। এরপর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা শেষে তিনি সুস্থ বলে চিকিৎসকেরা জানান। সালাহ উদ্দিন চিকিৎসকদের জানিয়েছেন, তাঁর হার্টের সমস্যা আছে। তাঁকে হার্টের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গত ১০ মার্চ রাতে উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ১৩-বি নম্বর সড়কের একটি বাড়ির দোতলার ফ্ল্যাটে ঢুকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা সালাহ উদ্দিন আহমদকে ধরে নিয়ে যায়। ৩ নম্বর সেক্টরের নিরাপত্তাকর্মী ও কয়েকজন বলেছিলেন,তাঁকে ধরে নেওয়ার আগে ওই বাসার কাছেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পিকআপ দাঁড়ানো ছিল। ওই পিকআপে আসা সদস্যরা সেখানে কর্তব্যরত ৩ নম্বর সেক্টর কল্যাণ সমিতির নিয়োগ করা নিরাপত্তাকর্মীদের কাছে ১৩-বি নম্বর সড়কটির অবস্থান জানতেও চেয়েছিলেন। ঘটনার শুরু থেকে পরিবার সালাহ উদ্দিনকে ধরে নিয়ে যাওয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেই দায়ী করে আসছে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ নিখোঁজ হওয়ার তথ্য সাংবাদিকদের জানানোর দুই মাস পর তার ফোন পাওয়ার কথা জানালেন স্ত্রী হাসিনা আহমেদ।মঙ্গলবার দুপুরে গুলাশনে নিজের বাসায় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সালাহ উদ্দিন ভারতের শিলংয়ের মিমহানস মেন্টাল হসপিটালে আছেন। সেখান থেকেই দুপুরে ঢাকায় ফোন করেন তিনি। আমার স্বামী সুস্থ আছেন বলে আমাকে জানিয়েছেন।আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে তার কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছি। সবার সহযোগিতা চাই।