108924_1

দৈনিকবার্তা-ঢাকা ১২ মে: সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর আলোকে অসদাচরণ বা অসামর্থ্যের কারণে উচ্চ আদালতের বিচারপতিদের অপসারণ সংক্রান্ত আইনের খসড়া টওায় চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক৷ আসন্ন বাজেট অধিবেশনেই এটি বিল আকারে সংসদে উত্থাপন করা হবে বলেও জানান তিনি৷মঙ্গলবার বিচার প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটে বিচারকদের একটি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন শেষে তিনি এ কথা বলেন৷ দেশের সাধারণ বিচারপ্রার্থীদের বিচার পেতে যেন কোন হয়রানির শিকার না হতে হয়ে সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে বিচারকদের প্রতি আহবান জানান মন্ত্রী৷

আইনমন্ত্রী বলেন, বিচারপতিদের অপসারণ সংক্রান্ত আইনের খসড়া প্রায় সম্পন্ন করা হয়েছে৷ শিগগিরই সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে আলোচনা শেষে এটি সংসদের আসন্ন বাজেট অধিবেশনেই তোলা হবে বলে জানান তিনি৷আইনটি পাশ হলে বিচারপতিদের স্বাধীনতা কোনভাবেই ক্ষুন্ন হবেনা বলেও জানান আনিসুল হক৷ এদিকে, আসছে বাজেট অধিবেশনেই বিচারপতি অপসারণে একটি সম্পূরক আইন আসছে বলে জানিয়েছেন আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত৷তিনি বলেন, এর আগে সংবিধান ষোড়শ সংশোধনী বিল সংসদে পাস হয়েছে৷ বিলটি পাসের সময় বলা হয়েছিলো বিচারপতি অপসারণ কোন পদ্ধতিতে হবে তা নিরূপণ করতে আইন করা হবে৷ সে লক্ষ্যেই ‘বিহেভিয়ার ইনক্যাপাসিটি অব জাজেস’ শীর্ষক আইনটি এই বাজেট অধিবেশনেই উত্থাপন করা হবে৷

মঙ্গলবার জাতীয় জাতীয় সংসদ ভবনে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে মিডিয়া সেন্টারে ব্রিফিং এসব কথা বলেন সুরঞ্জিত৷সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত বলেন, সংবিধান ষোড়শ সংশোধনী বিলটি পাস হওয়ার পর এই আইনটি খুবই জরুরি হয়ে পড়েছিলো৷ কেননা আইনটি না থাকায় এতো দিন ষোড়শ সংশোধনী অকার্যকর ছিলো৷ সম্পূরক এ আইনটি পাস হলে বিচারপতিদের অপসারণে আর কোন বাধা থাকবে না৷

তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সকল প্রতিষ্ঠানেরই সংসদের কাছে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে৷ বিচারপতিদের বেলাতেও তাই৷ ইতোমধ্যে আইনের একটি খসড়া মন্ত্রণালয় তৈরি করেছে৷ খসড়া আইনটি সংসদে আসলে তখন কমিটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই-বাছাই করে আইনটি পাসের জন্য পাঠাবে৷ তার আগে বিশেষজ্ঞাদের সাথে পরামর্শ করা হবে৷সভাপতি আরো বলেন, বিচারপতিদের অসাদচরণ ও অসামথর্্য প্রমাণিত করবে বিচারপতিরাই৷ তারাই ঠিক করবে কোন বিচারপতির আচারণ ভালো বা মন্দ কে, বা কে কাজ করতে পারবেন না (অসমর্থ)৷ তাদের সুপারিশে সংসদ সিদ্ধান্ত নেবে৷ এটাই হচ্ছে আইনের মূল কথা৷

প্রসঙ্গত,গত ১৭সেপ্টেম্বর সর্বসম্মতিক্রমে সংবিধান (ষোড়শ সংশধোন) বিল-২০১৪ পাস হয়৷ বিলটিতে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ সম্মতি জানিয়ে স্বাক্ষর করেন কয়দিন পরেই৷ এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়ে গেছে৷সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানাযায়, জনগুরুত্বসম্পন্ন ও চাঞ্চল্যকর ২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা নিস্পত্তিতে অস্বাভাবিক বিলম্বের কারণ ও তা নিরসণে অগ্রগতির বিষয়ে আলোচনা করা হয় বৈঠকে৷ দ্রুতই ২ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার নিষ্পত্তি হবে৷