DoinikBarta_দৈনিকবার্তা.shiping-minster-shahajan

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১২ মে: মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেল পুরোপুরি চালু হওয়ার পর জুন থেকে শ্যালা নদীতে নৌ-যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান।মঙ্গলবার সচিবালয়ে মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেলে নৌ-যান চলাচল বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান তিনি।নৌ-সচিব শফিক আলম মেহেদী, বিআইডব্লিউটিএ’র প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল মতিনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।গত ৯ ডিসেম্বর সুন্দরবনে শ্যালা নদীতে তেলবাহী ট্যাঙ্কার ডুবিতে পরিবেশ ও প্রাণিকূলের ব্যাপক ক্ষতির পর মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেল দ্রুত চালুর দাবি উঠে।সংবাদ সম্মেলনে নৌমন্ত্রী জানান, গত দেড় দশক ধরে মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেলে নৌ-পথের নাব্যতা হ্রাস পাওয়ায় নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ৮৭ কিলোমিটার অতিরিক্ত পথ পাড়ি দিয়ে সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে শ্যালা নদী দিয়ে নৌযান চলাচল করতো।

গত বছরের ৯ ডিসেম্বর সুন্দরবনে শ্যালা নদীতে তেলবাহী ট্যাঙ্কার ডুবিতে পরিবেশ ও প্রাণিকূলের ব্যাপক ক্ষতির পর মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেল চালুর দাবি উঠেছিল উল্লেখ করে শাজাহান খান বলেন, গত ৬ মে থেকে পরীক্ষামূলকভাবে নৌ-যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়।মন্ত্রী বলেন, ১৯৭৪ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে ঘষিয়াখালী চ্যানেলটি খনন করেছিলেন। এই চ্যানেলের ১৩ কিলোমিটার নদী খনন করে সচল করতে বর্তমানে ১১৩ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।তিনি বলেন, এই চ্যানেলটি চালুর ফলে ৮৭ কিলোমিটার অতিরিক্ত নদী পথ কমবে, যাতায়াত ব্যয় ও নৌযানের ব্যয় সাশ্রয় হবে। আগামী জুনের মধ্যে এই চ্যানেল চালু করতে আরো ৩২টি খাল খনন করাসহ সব ধরনের প্রয়োজনীয় কার্যকরী উদ্যোগ নেয়া হবে।এই চ্যানেল চালু করার জন্য সব চিংড়ি ঘেরের মুখও খুলে দেয়া হবে বলে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার নৌপথ সচল করার জন্য সকল কার্যকরী উদ্যোগ নিয়েছে।এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, রাজধানী ঢাকার চারপাশের নদীপথ সচল করতে অবৈধ নদী দখলমুক্ত করা হবে। নদীর পানি দুষণমুক্ত করতে আরো বেশি জনসচেতনতা ও সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন নৌ-মন্ত্রী।